“আলিয়া ভট্টের ‘জিগরা’: পদ্ধতির পরিবর্তন ও লাভজনক ব্যবসা, বলিউডের নতুন ছন্দের আবাহন!”

NewZclub

“আলিয়া ভট্টের ‘জিগরা’: পদ্ধতির পরিবর্তন ও লাভজনক ব্যবসা, বলিউডের নতুন ছন্দের আবাহন!”

বর্তমানের শীর্ষ মহিলা তারকা আলিয়া ভাট ‘জিগরা’ ছবির মাধ্যমে আবারও সিনেমা জগতের সাফল্যের শিখরে ফিরে আসছেন। ৮০ কোটি টাকায় নির্মিত এই সিনেমাটি ইতিমধ্যে ডিজিটাল ও স্যাটেলাইট অধিকার বিক্রির মাধ্যমে লাভজনক হয়ে উঠেছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্মা প্রোডাকশনের কৌশলী ব্যবসায়িক চিন্তার ফলস্বরূপ, সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে ভিন্ন গল্প বলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে। সমাজের বর্তমান বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

“আলিয়া ভট্টের ‘জিগরা’: পদ্ধতির পরিবর্তন ও লাভজনক ব্যবসা, বলিউডের নতুন ছন্দের আবাহন!”

বলিউডের সুপারস্টার আলিয়া ভাটের ‘জিগরা’ নিয়ে নতুন খবর

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় মহিলা তারকা আলিয়া ভাট তার নতুন সিনেমা ‘জিগরা’ নিয়ে ফিরে এসেছেন, যা পরিচালনা করেছেন বাসান বালা এবং প্রযোজক হিসাবে রয়েছেন করণ জোহর। চলচ্চিত্রটি দুর্গাপূজার দিনে মুক্তি পেতে চলেছে এবং এটি ইতিমধ্যেই ধর্মা প্রোডাকশনের জন্য লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে বলিউড হাঙ্গামার পক্ষ থেকে।

প্রথম দিকেই সাফল্যের নজির

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘জিগরা’-এর নির্মাণ তহবিল ৮০ কোটি রুপি এবং প্রিন্ট ও প্রচারের জন্য ১০ কোটি রুপি আরও বিভিন্নভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। “ধর্মা প্রতিটি পয়সা উদ্ধার করেছে ডিজিটাল এবং স্যাটেলাইট রাইটসের বিক্রয়ের মাধ্যমে। সিনেমার সব ধরনের মিউজিক রাইটস এবং থিয়েট্রিক্যাল আয় এখন ধর্মার জন্য লাভ,” বলেছে একটি ট্রেড সূত্র। করণ জোহরের ব্যবসায় নির্দেশনা সত্যিই অসাধারণ,” বলেছে একই সূত্র।

নতুন যুগের গল্প বলার রীতি

সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, ‘জিগরা’ প্রকল্পটি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় উঠেছে কারণ আলিয়া ভাট এবং বাসান বালার সমন্বয়। “বাসানের শেষ ছবি ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’ নেটফ্লিক্সে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে এবং আলিয়ার ‘ডার্লিংস’ও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। নেটফ্লিক্স যখন এই যুগলকে নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিচ্ছিল, করণ বাস্তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন যা ৭০ কোটি রুপির প্র premium দাম উঠে এসেছে,” জানিয়েছে সোর্স।

শিল্পের সামাজিক প্রভাব

ফिल्मটি ২০২৪ সালের অক্টোবর ১১ তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কিভাবে বলিউড সিনেমা একটি নতুন চেহারা গ্রহণ করছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আধুনিক জীবনের চিত্রায়ণ কিভাবে চলচ্চিত্রে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, তা নিয়ে ভাবা দরকার। দর্শকদের পছন্দের পরিবর্তনও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কণ্ঠশিল্পী আলিয়া এখন কেবল একজন অভিনেত্রী নন, বরং তিনি একটি সুরক্ষা ব্লকবস্টার হিসেবে দুর্গাপূজা এবং অন্যান্য উৎসবের সময় ভক্তদের মনে দাগ কাটছেন।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তনশীল ধারা

বর্তমানের দর্শকদের চাহিদা এবং আগ্রহের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন ধারায় কাজ করতে হবে। ‘জিগরা’র মুক্তিতে কেবল আয়ের দিক থেকে লাভ নয়, বরং নতুন ক্রিয়েটিভ উপাদান যোগ করে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।

আসা করা যায়, ‘জিগরা’ সিনেমাটি শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে সফল হবে না, বরং এটি একটি নতুন গল্প বলার পদ্ধতির সোপান হিসেবেও বিবেচিত হবে।

মন্তব্য করুন