ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৯৪ সালের পর ক্যানস Film ফেস্টিভ্যালে প্রধান প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া “অল উই ইমেজিন অ্যাজ লাইট” কাল এমএমআই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বড়ে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে। পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া এবং অভিনেতা রানা ডাগ্গুবাতির উপস্থিতিতে এক প্রেস কনফারেন্সে রানা জানান, ২২ নভেম্বর সিনেমাটি পুরো ভারতে মুক্তি পাবে। কাপাডিয়া কাহিনীর সামাজিক প্রভাবের কথা বলতে গিয়ে বর্তমান চলচ্চিত্রের ভিন্ন দৃষ্টি এবং দর্শকদের পরিবর্তিত রুচির প্রতি লক্ষ্য রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে “লাপাটা লেডিজ”-এর অস্কার নির্বাচিত হওয়ায় কিছু হতাশা ছড়িয়েছে, কাপাডিয়া আশা প্রকাশ করেছেন যে “অল উই ইমেজিন অ্যাজ লাইট” এখনও তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারে।
সিনেমার ধরনে ভিন্নতা: কান চলচ্চিত্র উৎসবের উচ্ছ্বাস থেকে দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর অঙ্গীকার
ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট”, যা 1994 সালের পর প্রথম সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং গ্র্যান্ড প্রি জিতেছে। আগামীকাল, শুক্রবার, অক্টোবর 18 তারিখে এমএমআই ফিল্ম ফেস্টিভালে একটি বড় প্রিমিয়ার হবে। আজ এক প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া এবং অভিনেতা রানা ডাগ্গুবাটি। শেষজন এই চলচ্চিত্রটি ভারতের জন্য বিতরণ করছেন।
পায়েল কাপাডিয়ার অনুভূতি
কান সম্মানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পায়েল কাপাডিয়া বলেন, “অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। এটি তৈরি করতে অনেক বছর লেগেছে। সুতরাং, এইভাবে নির্বাচিত হওয়া ছিল একটি অত্যন্ত আনন্দজনক চমক এবং সম্মান। আমি সবচেয়ে উষ্ণ অনুভূতি নিয়ে অপেক্ষা করছি, কারণ সিনেমাটি ভারতের দর্শকদের জন্য মুক্তি পাবে এবং তারা আমার সিনেমাটি দেখার জন্য টিকিট কিনবে!”
রানা ডাগ্গুবাটির ঘোষণা
রানা তখন ভারতীয় মুক্তির তারিখ ঘোষণা করার জন্য বলেন, “আমি ঠিক এমন সিনেমার জন্য পরিচিত নই” বলে মজা করেন। তিনি এরপর জানান, “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট 22 নভেম্বর একটি বৃহৎ, প্যান-ইন্ডিয়ান থিয়েট্রিক্যাল মুক্তি পাবে। আমাদের জন্য এটি একটি বিশাল সম্মান যে আমরা এই চলচ্চিত্রটির অংশ হতে পারছি এবং এটি দর্শকদের কাছে নিয়ে আসতে পারছি।”
অস্কারের পথে “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট”
রানা ডাগ্গুবাটি উল্লেখ করেন, “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট” একটি সীমিত মুক্তি পেয়েছিল কেরালায় 21 সেপ্টেম্বর ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য যাতে এটি অস্কারের জন্য যোগ্য হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি আমার কাছে সাধারণত একটি মালায়ালাম সিনেমার মতো মনে হয়েছিল। আমরা এখানে এক ধরনের ফরম্যাট ভেঙে চলছি যে ভারতীয় স্বাধীন চলচ্চিত্রগুলি কিভাবে মুক্তি পাওয়া উচিত।”
অন্য সিনেমার সাফল্য এবং নিজস্ব স্বপ্ন
বহু লোক হতাশ হয়েছিল যখন কিরণ রাও-এর “লাপাতা লেডিজ” (২০২৪), যা আমির খানের প্রযোজিত হয়েছে, অস্কারের জন্য নির্বাচিত হয় এবং “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট” নয়। পায়েল কাপাডিয়া এতটুকু দুঃখিত ছিলেন না এবং বললেন, “লাপাতা লেডিজ একটি দুর্দান্ত সিনেমা। সুতরাং, আমি তার অস্কার নির্বাচনের সাথে খুশি।”
অস্কার সম্ভাবনা
পায়েল কাপাডিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট” এখনও অস্কারের সুযোগ পেতে পারে, “এটি 15 নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে। যদি আপনার সেখানে বন্ধু থাকে, তাদের জানান! একবার এটি সেখানে মুক্তি পেলে বিতরণ দল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এটি অস্কারের জন্য যায় কিনা।”
সিনেমাকে সামনে রেখে শতাব্দীর পাঠ
এই নতুন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগ্রামী চলচ্চিত্র কেবল বিনোদন নয়, বরং সমাজের চাহিদা, দর্শকদের পরিবর্তিত পছন্দ এবং চলচ্চিত্রের রূপান্তরের একটি প্রতিফলন। শিল্পীরা ছবির ভিতরে যে শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে আসেন তা হলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে।
