এবারের খবর, বলিউডের মহানায়ক অমিতাভ বচ্চন এবং তার পুত্র অভিষেক বচ্চন ব্যতীত এসেছেন নতুন রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্টে, মুম্বাইয়ের মালুণ্ড ওয়েস্টে ২৪.৯৫ কোটি টাকায় ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট কিনে। সেলিব্রিটি প্রপোর্টির বাজারে তাদের দাপট ক্রমে বাড়ছে, ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত ২১৯ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন তারা। এ যেন সাম্প্রতিক বলিউডের রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এক নতুন চিত্র, যেখানে বিনোদন ও বাণিজ্য হাত মিলিয়েছেন।
বলিউডের নতুন আসর: বিত্তশালী বচ্চন পরিবারের রিয়েল স্টেট বিনিয়োগের গল্প
সম্প্রতি, ভারতের সিনেমা জগতের দুই আইকনিক নাম, অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন, তাদের বিশাল রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিও বিস্তৃত করেছেন। তারা মুম্বাইয়ের মালুণ্ড ওয়েস্ট এলাকায় ২৪.৯৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন, যা স্কয়ার ইয়ার্ডস দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছে।
মালুণ্ড ওয়েস্ট: আধুনিক জীবনযাপনের কেন্দ্রবিন্দু
মালুণ্ড ওয়েস্ট একটি চমৎকার আবাসিক কেন্দ্র, যা কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম মুম্বাইয়ের সঙ্গে ভালো সংযোগের জন্য পরিচিত। এখানে আধুনিক অবকাঠামোর পাশাপাশি সবুজের ছোঁয়া রয়েছে। নতুন কেনা সম্পত্তিগুলি ওবোরয় রিয়েলটির উঁচু মানের আবাসিক প্রকল্প, ইটার্নিয়াতে অবস্থিত, যেখানে ৩ BHK এবং ৪ BHK অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
বিকল্পের মধ্যে বিলাসিতা
বচ্চন পরিবারের সর্বশেষ এই নির্বাহী সিদ্ধান্ত ১০,২১৬ বর্গফুটের একটি মোট কার্পেট এলাকায় ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আটটি ১,০৪৯ বর্গফুটের এবং দুটি ৯১২ বর্গফুটের। প্রত্যেকটি কেনাকাটায় দুটি গাড়ির পার্কিং স্পেস অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং মোট ট্রানজেকশন নিয়ে স্টাম্প ডিউটি ১.৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বিশেষভাবে, অভিষেক বচ্চন এই অ্যাপার্টমেন্টগুলির মধ্যে ছয়টি ১৪.৭৭ কোটি টাকায় কিনেছেন, যখন অমিতাভ বচ্চন বাকী চারটি কিনেছেন।
বচ্চন পরিবারের বিস্তৃত রিয়েল এস্টেট কর্মকাণ্ড
এই সর্বশেষ বিনিয়োগ বচ্চন পরিবারের চমকপ্রদ রিয়েল এস্টেট কার্যক্রমের যোগ্যতা দেয়। ২০২০ সাল থেকে, তারা মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের সেলিব্রিটি প্রপার্টি ট্রানজেকশনের এক চতুর্থাংশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, প্রায় ১৯০,০০০ বর্গফুট সম্পত্তি কিনে মোট ২১৯ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছেন। ২০২৪ সালেই পরিবারটি ১০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে, বিশেষ করে ওশিওয়ারা এবং ম্যাঘাথানে (বোরিভালী পূর্ব) আবাসিক এবং বাণিজ্যিক স্থানে।
সিনেমার প্রভাব ও বিনিয়োগের পেছনের গল্প
এই ধরনের বিনিয়োগ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়, তা সমাজের মনোভাবকেও প্রভাবিত করে। চলচ্চিত্র শিল্পের এই বিশাল বিনিয়োগগুলো চলচ্চিত্রের গল্প, চরিত্র ও সমাজের বাস্তবতার মধ্যে সম্পর্ক জোরালো করে। সম্প্রতি, ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’র ১৬ তম সিজনের পর্বে অমিতাভ বচ্চন তার “গিল্টি প্লেজার ফুড” নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এটি দেখায় যে তারা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকেও ফোকাসে রাখছেন।
শেষ কথা: বদলে ফেলার চেষ্টার মাঝে, শিল্পের মৌলিকত্ব রক্ষা!
বছরের পর বছর ধরেই বলিউডের পরিবর্তন আসছে, তবে কি এই আর্থিক বিনিয়োগগুলো চলচ্চিত্রের গভীরতার ও সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে? নাকি সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারবে? মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগের পিছনে রয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের মৌলিক চরিত্র এবং দর্শকের প্রত্যাশা।