নতুন ছবির জন্য প্রস্তুতির মাঝেই, জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ক্যামেরার সামনে আসতে যাচ্ছে। রণবীর কাপূর, আলিয়া ভাট ও বিকি কৌশল নিয়ে ইতিকথার পটভূমিতে নির্মিত এই সিনেমা, যুদ্ধকালীন প্রেম কাহিনীর মাধ্যমে আমাদের সময়ের সমাজগঠনে নতুন দিশারীপণ করার আশা জাগাচ্ছে। বৃদ্ধাঙ্গুলি তুলে সাম্প্রতিক বলিউডকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, আসলে বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পের সত্যিকারের অভিজ্ঞান কি – ধন-দৌলতের গল্প নাকি মানবিক অন্বেষণ?
বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন অধ্যায়: যুদ্ধ ও প্রেমের অঙ্কন
প্রতীক্ষার পর, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি তার নতুন পিরিয়ড ড্রামা “লাভ অ্যান্ড ওয়ার” এর শুটিং শুরু করতে প্রস্তুত। চলচ্চিত্রটির সুপারস্টার কাস্টে রয়েছেন রণবীর কাপূর, আলিয়া ভট্ট এবং বিকি কৌশল। মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটির স্টুডিও ৫ এ নভেম্বর ৭ তারিখ থেকে শুটিং শুরু হবে, যেখানে বানসালির অনন্য ঐতিহাসিক পরিবেশের জন্য একটি বিস্তারিত সেট ডিজাইন করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক জগতের পুনর্নিমাণ
বানসালির চলচ্চিত্রগুলি তাদের মহিমা এবং বিস্তারিত রক্ষণের জন্য পরিচিত, “লাভ অ্যান্ড ওয়ার” তাও এর ব্যতিক্রম নয়। চলচ্চিত্রের প্রথম দৃশ্যে ৫০ জন অভিনয়শীল যোদ্ধা (সেপয়) এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন, যা যুদ্ধকালীন পরিবেশকে সত্যি সত্যি ফুটিয়ে তুলবে। মিড ডে রিপোর্ট অনুযায়ী, “প্রতি বিবরণের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে যাতে সময়কাল যথার্থভাবে প্রকাশ পায়।”
প্রথম দৃশ্যে শুধুমাত্র রণবীর
প্রথম দৃশ্যে শুধুই রণবীর কাপূরকে দেখার আশা করা হচ্ছে, এর পর বিকি কৌশল পরের সপ্তাহে এই প্রকল্পে যোগ দেবেন এবং আলিয়া ভট্টের শুটিং চলছে ডিসেম্বর মাসে। “লাভ অ্যান্ড ওয়ার” এর বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা থাকলেও শোনা যাচ্ছে এটি একটি মহাকাব্যিক রোমান্স হবে, যা যুদ্ধে আবদ্ধ থাকে, যেখানে রণবীর কাপূর, আলিয়া ভট্ট এবং বিকি কৌশল একসাথে একটি তীব্র এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী কাহিনী গড়ে তুলবেন।
সীমিত প্রবেশাধিকার ও গোপনীয়তা
প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে, বানসালি সেটে প্রবেশাধিকার সীমিত রেখেছেন, যেখানে কিছু বিশ্বস্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র প্রাথমিক প্রস্তুতির পর্যায়ের সাক্ষী হতে পারবেন। একজন ইনসাইডার ইঙ্গিত দেন যে বানসালি শীঘ্রই একটি টিজার পোস্টার প্রকাশ করবেন, যেখানে তারকার ত্রয়ী সাহিত্যিক দৃষ্টিতে দেখা যাবে।
বাংলা চলচ্চিত্রের মনোরঞ্জন ও সমাজের প্রতিফলন
আজকের বাংলা চলচ্চিত্রের অঙ্গনে এ ধরনের একটি পিরিয়ড ড্রামা আমাদের সমাজ নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলে। শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং আমরা যে কাহিনী দেখি তা আমাদের চারপাশের বাস্তবতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, সেই সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে। বর্তমান সময়ে সিনেমার গল্প বলার ধরণেও পরিবর্তন এসেছে, যেখানে দর্শকরা উদ্ভাবনী এবং গভীর বিষয়বস্তুর জন্য অপেক্ষা করছেন।
সমাপনী মন্তব্য
যুদ্ধ ও প্রেমের মিশ্রণে কোন নতুন রঙ আনার চেষ্টা করবে বলিউড, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। কিন্তু একটাই নিশ্চিত, সঞ্জয় লীলা বানসালির মতো নির্মাতারা সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন যা আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং তাঁদের চলচ্চিত্র ভাঙা এবং গড়ার বিশেষ ক্ষমতা রাখে।