নতুন প্রজেক্টের জন্য এক বছরে ছেলে বৈয়ুকে বাড়িতে রেখে শুটিং করতে যাওয়ার কঠিন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী ইশিতা দত্ত। এই বাস্তবতা বুঝিয়ে দেয়, অভিনেতাদের প্রতিভার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাগুলোও কতটা ঝুঁকির মধ্যে। বলিউডের ব্যস্ততা এবং মা হিসেবে কাজের চাপ, নতুন গল্প বলার ধারাগুলোকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে, দর্শকদের কাছে আরও মানবিক এবং সম্পর্কিত কাহিনীর প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলছে।
ফিল্মের জগৎ: এক সন্তানের মা, আর সেই শিশুর সম্পর্কের নাটক
বিগত দিনগুলিতে বলিউড অভিনেত্রী ইশিতা দত্ত তাঁর সদ্য এক বছরের পুত্র, ভায়ুকে বাড়িতে রেখে নতুন প্রকল্পের জন্য শুটিং করতে যাওয়ার প্রক্রিয়ার কঠিনতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। অপরদিকে, এই পরিস্থিতি শুধু তার একার নয়, বরং অনেক শিশুমা ও অভিনেত্রীর জন্য একই রকম। সংসারের সাথে ক্যারিয়ারের মধ্যকার এই টানাপোড়েনে তাঁরা কিভাবে নিজেদের সামলাতে পারেন? বিপদ ও স্বপ্নের মধ্যে এই সংঘর্ষে কি সত্যিই কোনো আদর্শ প্রকাশ পায়?
একটি নতুন প্রজেক্ট এবং মা হওয়ার চাপ
ইশিতার কথায় উঠে এসেছে মায়ের অনুভব এবং কাজের চাপে জীবন যাপনের বাস্তবতা। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাড়িতে ছেলেকে রেখে গেলে মনে হয় যেন একটি অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।” স্বামী এবং পুত্র নিয়ে সংসার এবং শুটিংয়ের ধারণাটি বিভক্ত হয়ে পড়ে, যা একজন মায়ের মনে অব্যাঞ্জনীয় চাপ সৃষ্টি করে। এই বাস্তবতা সত্যি কি শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রীর বিষয়, বা এটি আমাদের সামাজিক স্তরের এক বৃহত্তর চিত্র?
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কলঙ্ক ও পরিচয়
বলিউডের এই ‘মা নিয়ম’ যদি বোঝা যায়, তবে দেখা যাবে, চলচ্চিত্র শিল্পের কাঠামো এখনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সময়ে দাঁড়িয়ে। মায়েদের জন্য কাজ আর সংসার দুটোই গুরুত্ব পাচ্ছে কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজের যে পরিবর্তন ঘটছে, তার প্রতিবিম্ব কতটা ফিল্মে দেখা যাচ্ছে? একদিকে যেখানে নারীদের কর্মস্থলে সুযোগ বাড়ছে, সেখানে মায়েরা কীভাবে বোঝাপড়ার মাঝে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারেন?
চরিত্রের পরিবর্তন ও নতুন গল্পের ধারনা
বর্তমান সময়ে দর্শকদের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটিও ইশিতার আকুলতা যেমন। আজকের দর্শকরা কমফোর্ট ও বাস্তবতার চাহিদার পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক গভীরতাও প্রত্যাশা করে। এতে হয়তো নতুন অভিনেত্রীদের চরিত্রমূলক পরিবর্তন দেখা যাবে, যেখানে তারা কেবল অভিনয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হন। এই নতুন কাহিনীগুলিতে স্ত্রী-মা-পরিচালক— সব সভাপতি নারী পালাকে আদর্শ হিসেবে উদ্ভাসিত করা উচিত।
আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব
শেষ পর্যন্ত, ইশিতা দত্তের মতো অভিনেতারাও সমাজের মাপকাঠিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পরিণত হচ্ছেন। তাদের সমস্যাগুলি শুধু তাদের নয়, বরং আমাদের সমাজের একটি অংশ। যখন তারা নিজেদের বেদনাকে প্রকাশ করেন, তখন তা সাধারণ মায়েদের জীবনকেও আলো ফেলতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্প কি এমন কিছু অর্জন করতে পারে, যা কেবল বিনোদন নয়, বরং সমাজের জন্য একটি পরিবর্তনের সূচনা করবে? এটাই এখন সময়ের দাবি।
সংক্ষেপে বললে: বলিউডের জন্ম-বিস্তৃত এক গবেষণা
ইশিতার কথায় উঠে এসেছে নারীর চরিত্র ও মায়ের(identity) পরিচয়ের পরিবর্তন। বলিউডের ধরাবাঁধা রূপরেখার বিপরীতে, আমরা কি সত্যিই একজন মা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে পারি? এবং, অপেক্ষায় রয়েছি— আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের মঞ্চে নারীরা কি সত্যিই তাদের জন্য একটি আরও সমৃদ্ধ ভূমিকা পাবে? যুদ্ধ চলছে, তবে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলি বজায় রাখা আবশ্যক।