“বিবাহের পরও করিনা কেন ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত, বুঝিয়ে দিলেন সমাজের নিয়ম ভাঙার সাহস ও আগ্রহ!”

NewZclub

“বিবাহের পরও করিনা কেন ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত, বুঝিয়ে দিলেন সমাজের নিয়ম ভাঙার সাহস ও আগ্রহ!”

বলিউডের তারকা করিনা কাপূর সম্প্রতি বলেন, বিবাহের পর তার ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে এমন কথা শুনেছিলেন। কিন্তু তিনি বিয়ের পর ও সন্তান জন্মানোর পর আরো কাজ করেছেন। এই দৃষ্টান্তই প্রমাণ করে, সমাজের প্রতিকুলতা সত্ত্বেও, নারীরা সিনেমাজগতের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারেন ও নিজেদের প্রতিভা উজাগর করতে পারেন।

“বিবাহের পরও করিনা কেন ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত, বুঝিয়ে দিলেন সমাজের নিয়ম ভাঙার সাহস ও আগ্রহ!”

বিবাহের পর কেরিয়ার: বিরূপ কথায় রূপান্তরিত বিজয়

সম্প্রতি বলিউডের সাড়া জাগানো তারকা কেরিনা কপূর খানের একটি মন্তব্য সমস্ত মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কেরিনা বলেছেন, তিনি বিয়ের পর কিছু লোকের কাছে শুনেছিলেন যে, তার ক্যারিয়ার সন্তান জন্মানোর পর একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু বাস্তবে যা হয়েছে, তার উল্টো। বিয়ের পর এবং দুই সন্তানের জন্মের পরও কেরিনার কেরিয়ার যেন নতুনভাবে চাঙ্গা হয়েছে। পরপর সাফল্য এবং নতুন প্রকল্পের জন্য তার অন্যতম চাহিদা বাড়ছে। এটি বলিউডের একটি বিশেষ দৃষ্টান্ত, যেখানে অনেক মহিলা তারকা সংসার বা মাতৃত্বের কারণে দুর্গতি সম্বোধন করেছেন।

বিনোদন জগতের পরিবর্তনশীল ছবি

কেরিনার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, বলিউডের প্রথাগত চিন্তাধারা কতটা বদলে যাচ্ছে। অতীতে, অভিনেত্রীরা বিয়ের পর প্রধানত ঘরোয়া দিকেই মনোযোগ দিতেন, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সমাজে এবং বিনোদনে নারীদের ভূমিকা নতুন এক গতি পেয়েছে। বর্তমানে, নারীরা যেন তাদের পেশাদার জীবনের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনকে সুন্দরভাবে সামলানোর উদাহরণ হয়ে উঠছেন।

সমাজের উপলব্ধি

এখনকার অডিয়েন্সও এই পরিবর্তনকে সমর্থন করছে। সমাজে নারীর সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে চাইছে দর্শকরা। প্রকৃতির এই পরিবর্তন চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হচ্ছে, যেখানে নারীরা আরও দৃঢ় এবং সুস্থ চরিত্রে হাজির হচ্ছেন। এটি শুধু কেরিনা নয়, আরও অনেক অভিনেত্রীর জন্য উজ্জ্বল একটি কালে পরিণত হয়েছে।

মিডিয়ার ভূমিকা

মিডিয়া সাধারণত নারীদের নিয়ে অতি সাবধানী হয়, কিন্তু কেরিনার কথাগুলি সেই ভূমিকারও একটি নাড়া দিয়েছে। নির্মাতারা এবং প্রযোজকরা এখন সঠিক নারীর চরিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকছেন, যেখানে তারা আর একজন দর্শককে ভ্রান্তি দিচ্ছেনা বরং নতুন চিন্তার চেহারা নিয়ে আসছে।

নতুন কাহিনীর অভিব্যক্তি

পুরানো কাহিনী, যেখানে নারী চরিত্র শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যের ওপরে নির্ভরশীল ছিল, সেগুলো এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিলুপ্তির পথে। তার পরিবর্তে নতুন নতুন গল্প উঠে আসছে, যেখানে নারী স্বাধীনতা, শক্তি এবং সাহসিকতার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে।

উপসংহার: এক নতুন দিগন্তের সন্ধানে

কেরিনা কপূরের এই উক্তি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কাহিনী নয়, বরং এক বৃহৎ পরিবর্তনের প্রতীক। এটি সুত্রে বাহির করে আমাদের সমাজের চিন্তাধারার সূক্ষ্ম রেখাকে তুলে ধরেছে। নারীর জীবন এবং কর্মের দৃষ্টিতে এটি শুধুমাত্র বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিরই নয়, প্রতিটি বিনোদন ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা।

বলিউড যেন আজ একটি নতুন দিগন্তের সন্ধানে, যেখানে নারীর শক্তি ও সফলতার কাহিনী শুনতে প্রত্যেকে তত্পর। কেরিনার উদাহরণ এই দিকেই আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে। শিল্প ও সমাজের মধ্যে যে ভাবনা পরিবর্তন ঘটছে, সেটাও আমাদের পরবর্তী লেখায় চিন্তায় রেখে দেখা উচিত।

মন্তব্য করুন