বলিউডের বর্তমান চিত্রে সেলিব্রিটি দ্বন্দ্বের থেকে নির্মাতাদের সক্রিয় পদক্ষেপে পরিবর্তন লক্ষণীয়। সালমান খান এবং শর্মান জোশীর নতুন চলচ্চিত্র ‘সিকান্দর’ এ প্রদর্শনীতে তাদের সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পাবে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই ছবি দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্কের গূঢ়তাকে তুলে ধরবে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
বলিউডের বিপণনে ‘সিকান্দার’ : সালমানের ফিরে আসার নতুন অধ্যায়
সালমান খান ফ্যানদের উল্লাসের সীমা নেই। তাঁরা তার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক চরিত্রে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। প্রযোজক সাজিদ নাডিয়াদওয়ালা তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাঁর আসন্ন সিনেমা ‘সিকান্দার’ তা নিশ্চিত করবে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ে শুটিং শুরু হয়েছে। এই শুটিংয়ে সালমানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রশ্মিকা মন্দানা ও কাজল আগরওয়াল। এদিকে, শোনা যাচ্ছে যে শর্মন জোশির মতো নতুন এক অভিনেতা এই ছবির কাস্টে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
শর্মন জোশি: নতুন মাত্রা
শর্মন জোশি, যারা বিভিন্ন রূপে দর্শকদের বিনোদিত করেছেন, এবার তাক লাগানো এক ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাবে এই এ আর মুরুগাদোসের পরিচালনায়। যদিও তাঁর চরিত্রের বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, সূত্র জানিয়েছে যে তিনি সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন। “শর্মন এবং সালমানের মধ্যে ‘সিকান্দার’-এ একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে এবং শর্মন ইতিমধ্যেই তাঁর অংশের শুটিং শুরু করেছেন। তিনি পুরো সময় সেটে উপস্থিত ছিলেন এবং সিকান্দারের যাত্রায় একটি মূল ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন,” জানিয়েছেন সূত্রটি।
সিনেমার শুটিংয়ের আকর্ষণ
যখন থেকেই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে, অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কিছু রিপোর্টে জানা যায় যে সালমান খান ও রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গে একটি বিশাল উৎসবের নৃত্য সিকোয়েন্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে যে পরিচালক মুম্বাইয়ে শুটিং শেষ করার পর হায়দরাবাদের দিকে স্থানান্তরিত হবে। কিছু রিপোর্ট অনুসারে সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য ইউরোপেও ধারণ করা হবে, বিশেষত রশ্মিকা ও সালমানের স্বপ্নিল দৃশ্যগুলো।
ঈদ ২০২৫: মুক্তির সময়সীমা
এর আগে জানা গেছে যে ‘সিকান্দার’ সিনেমার নির্মাতারা ডিসেম্বরের শেষের দিকে এই বিনোদনমূলক কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সবকিছু করছেন, যাতে এটি দেয়া সময়সীমায় ঈদ ২০২৫-এ মুক্তি পায়। এই সময়ে দর্শকমহলে উত্তেজনার জোয়ার বইছে।
বিনোদন জগতের সহজাত চ্যালেঞ্জ
প্রযোজকদের এই পরিকল্পনা শুধু সিনেমাটির সফলতাই নয়, বরং সালমান খানের বিপণনের কৌশলকে নিয়েও একটি বোঝাপড়া। নিশ্চিতভাবেই, এই চিত্রনাট্য এবং তার অভিনেতাদের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক দর্শকদের মনে আলাদা দাগ কাটবে। তবে, এখানেই কি শেষ? কারণ, বর্তমান বলিউডের বিখ্যাত চরিত্র এবং গল্প বলার সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে, যা সমাজে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিফলিত হয়।