যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভগ্নপ্রায় ভবন, যেন সরকারের অদৃশ্য হাতে লেখা এক করুণ কবিতা। শিক্ষার সোনালি ভবিষ্যৎ আজ মাটির খুঁটি আর অভাবের শিকলে আবদ্ধ। ন্যাকের প্রতিনিধিরা যখন ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার ছবি তুলছেন, তখন কি রাজনৈতিক নেতাদের চোখে দেশপ্রেমের দৃষ্টি স্বপ্নপ্রবণ? সমাজের সর্বস্তরে এই অবক্ষয়ের নেপথ্যে গভীর অন্তর্দৃষ্টি খুঁজে পাওয়া কি সম্ভব?
শিক্ষা ও নীতির তৈরি অসুবিধা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুঃখগাথা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সমস্যার কারণে পরিকাঠামোর অভাব স্পষ্ট। ন্যাকের প্রতিনিধিদল যখন সেখানকার ভগ্নপ্রায় ভবনগুলো পরিদর্শন করেন, তখন তারা দেখেন শিক্ষার গুনগত মান রক্ষায় বড়ো সমস্যা হচ্ছে। পরীক্ষাগারের স্থান সীমিত, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর।
রাজনৈতিক নাটক ও জনমানসের প্রতিধ্বনি
শিক্ষার এমন অচলাবস্থা সমাজের উপরেও গভীর প্রভাব ফেলছে। রাজনৈতিক নেতাদের অঙ্গীকার কি, স্থানীয় সরকার কিভাবে এক ঝলক পরিবর্তন ঘটাতে সাহস করবে? সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে ফটোশুটের রাজনীতি চলছে।
প্রগতির পক্ষে ক্রীড়া, নাকি একাধিক ঘটনার দিকে বীভৎসতা?
আয়ের সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন পথে নেমেছে, তখন সমাজের তরুণ প্রজন্ম কি ঠিক পথ খুঁজে পাবে? যে শিক্ষার পেছনে লাখো লোকের আশা, সেটার প্রতি যদি সকলেই নিষ্ঠুর হন, তবে ভবিষ্যৎ কি আমাদের অপেক্ষা করছে?