মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান যেন এক গড়পড়তা রাজনীতির মহাকাব্য, যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লান্ত কণ্ঠস্বর অচিরেই নিদর্শন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভাঁড়ামি। ঝাড়খণ্ড থেকে ফিরে এসে কলকাতায় তিনি কেমন করে ‘বস’ শরীরে বার্তা দেন, তা বুঝতে কি সমাজের শৃঙ্খলাগুলো উন্মুক্ত হচ্ছে না? সঙ্গীতের মন্ত্রে বিভোর, সেই কর্তৃত্বের মায়াজাল ভাঙা হয় কি?
তৃণমূলের ‘বস’ কি আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন?
আমরা একটি চমকপ্রদ রাজনৈতিক মোড়ের সাক্ষী হয়েছি, যখন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি মন্তব্য করেন, “তৃণমূল কংগ্রেস চলবে না।” এই উক্তি অনেককে অবাক করেছে—এটি আসলে কী বোঝাতে চাইল?
মমতার ‘মূর্তি’ ও অভিষেকের ‘অভিযান’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ক্ষেত্রে একজন শক্তিশালী নেতা, যিনি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজেকে রাজনৈতিক মঞ্চের ‘বস’ হিসাবে প্রমাণ করেছেন। মমতার সূক্ষ্মতার সঙ্গে অভিষেকের পরিকল্পনার মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তা স্পষ্ট।
রাজনৈতিক কৌশল নাকি নাটক?
প্রশ্ন উঠছে—যদি অভিষেক বলেন যে ‘তৃণমূল চলে যাবে’, তাহলে কি মমতা তার দলের এত জনপ্রিয় অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন? এটি কি রাজনৈতিক কৌশল, নাকি একটি নাটকীয় পরিস্থিতি? আসলে এটি একটি উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক সেলফি—যেখানে মমতা হেমন্ত সোরেনের সঙ্গী হয়ে আবারও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য।
জনগণের মনোভাব ও সামাজিক প্রভাব
যখন রেডিওতে প্রিয় গান শোনেন, তখন কি বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটিও আকাশের এই অসীমতার মতো রহস্যময়? জনগণের মনোভাব কি শুধুই কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি তা বিদ্রোহের রূপ নেবে? রাজ্যের উন্নয়ন এবং তৃণমূলের নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে মমতার প্রতি জনগণের আস্থা কি অপরিবর্তিত?
মিডিয়ার ভূমিকা ও পরিবর্তিত বাস্তবতা
মিডিয়া এখন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করছে। এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক গল্পগুলি কীভাবে জনমতকে প্রভাবিত করছে, তা আমাদের ভাবনায় রাখতে হবে। মমতার ‘বস’ তকমা এবং অভিষেকের বক্তব্য—এসব কি আবারও সংবাদপত্রের পাতায় স্থান পাবে, নাকি জনগণ নিজেদের চাহিদা নতুন করে বুঝবে?
শেষ কথা: রাজনীতির মঞ্চে সত্যিকার ‘শিল্পী’ কারা?
রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, আমাদের জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশার দিকে নজর দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের বদলে, জনগণই আসলে সত্যিকার ‘শিল্পী’। সুতরাং, এখন ভাবার বিষয় হল—বর্তমান ‘বস’ থেকে সমর্থন আদায়ের জন্য তাঁরা কতদূর যেতে প্রস্তুত?
শুধু সময়ই বলবে, রাজনৈতিক নাটকের এই পর্বে কে থাকবে এবং কে চলে যাবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—রাজনৈতিক নাটক আমাদের নজরে আসতে থাকবে, যতক্ষণ না আমরা সত্যিকার জ্ঞান ও বিচিত্রতার সঙ্গে বলব, “এটাই আমাদের বাংলা!”