গত ৩ নভেম্বর রাতে কালীপুজোর ভাসান শেষে এক যুবক বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা রাস্তায় মদ্যপ যুবকদের মুখোমুখি হন। ক্ষমতার এ এক অদ্ভুত সমন্বয়, যেখানে আনন্দের রাত রূপ নেয় ভয়ের জালে। সমাজের এই কদর্য চিত্র কি সরকারের চোখে পড়ছে? কিংবা তারা কি কেবল উৎসবের আলো বাতাসে গা জুড়াতে অভ্যস্ত? মানবতানির্ভর রাষ্ট্রে আমরা যেন ভোলেনি উদর্ক নির্মাণে নিজেদের হাত থেকে বেঁচে থাকার শিক্ষা নিতে!
রাজনৈতিক নাগরিকত্ব: রাতের অন্ধকারে কালীপুজো উদযাপন
৩ নভেম্বর রাতে, বাংলার এক যুবক কালীপুজোর ভাসান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন, যখন হঠাৎ ঘটে গেল একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। রাত সাড়ে ১২টার সময় একা বাইক চালানোর সময় তিনি কোণে কোণে অকৃত্রিম উল্লাসের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু এই শান্তির মুহূর্তটি বেশিদিন স্থায়ী হলো না। গোভাগার মোড়ের কাছে কিছু যুবক মদ্যপ অবস্থায় উন্মাদনা করছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, এই যুবকদের উল্লাস আমাদের সমাজে কী বার্তা নিয়ে আসছে?
অসহিষ্ণুতার রাজনীতি
গত কালীপুজোর এ ঘটনা প্রশাসনিক অদক্ষতা ও সামাজিক অসহনশীলতার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভীর রাতে এক নিরাপদ যাত্রা থাকা সত্ত্বেও কিছু যুবকের অস্থিরতা নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা দূর্বল। আমাদের দেশে এখন একটি প্রশ্ন সামনে আসছে—এএসটিভি রাজনৈতিক নেতৃত্ব সত্যিই আমাদের সুরক্ষা দিতে পারবে কি?
পরিসংখ্যানের অন্ধকার
বাংলাদেশে সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর একাধিক অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিসংখ্যান চোখে পড়ছে। বেড়ে চলা অপরাধের সংখ্যা মতাদর্শিত নাগরিকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার প্রতিটি উদ্যোগ যেন প্রতি বছর কেবল কাগজে-কলমে থেকে যায়, বাস্তবে তার চিত্র ভিন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি সামাজিক বিপর্যয়ের প্রতীক, যেখানে তরুণ প্রজন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব একটি প্রধান বাধা।
মিডিয়ার ভূমিকায় প্রশ্ন
এখন প্রশ্ন উঠছে, মিডিয়া কি এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে দেখছে? এ নিয়ে কতটুকু আলোচনা হচ্ছে? আমাদের বুঝতে হবে, যে ঘটনাগুলো প্রতিদিন ঘটে, সেগুলোই রাজনৈতিক সচেতনতার ভিত্তি গড়ে দেয়। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিডিয়ার ভূমিকা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সজাগ থাকা। বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি কেমন—এই প্রশ্ন আমাদের বোধের দিগন্ত প্রসারিত করে।
জনসচেতনতা ও প্রতিবাদ
যুবকদের এই অস্থিরতা কি রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের অভাবের প্রতীক? যদি তাই হয়, তবে এটা সরাসরি দায়িত্বহীনতা বলব। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধ পরিবর্তনের সঞ্চার ঘটাতে পারে। এজন্য আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে শুধু অভিযোগ নয়, বরং সচেতন ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা।
উপসংহার: এক নতুন প্রভাতের জন্য প্রতীক্ষা
আমাদের ইতিহাসের নেতাদের পথের রূপরেখা বোঝা জরুরি। রাজনৈতিক স্তর থেকে শুরু করে কমিউনিটি পর্যন্ত সবার লক্ষ্য থাকতে হবে একটি সুস্থ ও সুরক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। রাতের অন্ধকারে যে নিরাপত্তা হারানো গেছে, তার মধ্যে নতুন প্রভাতের আশার প্রয়োজন। আমাদের সকলকে সেই প্রভাতে সমানভাবে জাগরूक হতে হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।