“মমতার রেকর্ড ভেঙে ডাক্তারদের সমর্থনে ২৪ ঘণ্টার আন্দোলনে ভাস্কর ঘোষ, থ্রেট কালচারে নতুন প্রশ্ন!”

NewZclub

“মমতার রেকর্ড ভেঙে ডাক্তারদের সমর্থনে ২৪ ঘণ্টার আন্দোলনে ভাস্কর ঘোষ, থ্রেট কালচারে নতুন প্রশ্ন!”

ভাস্কর ঘোষ ও তাঁর সহকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসে দেশবাসীর চক্ষুশূলের মতো থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন, যেন সরকারের অব্যবস্থাপনার প্রতিক্রিয়া দিনদিন প্রবল হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএর দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রেকর্ড’ ভাঙা, কি বিচিত্র রসিকতা! শাসকের এই নাটকীয়তার মাঝে, জনগণের মুখ থেকে হাসি এবং বিষণ্নতার এক দোলাচল যেন নেতাদের খামখেয়ালিপনার প্রতিফলন। একজন কবির মতো বললে, বর্তমান রাজনীতির মঞ্চে পুতুলের খেলার রঙ্গীন কাহিনী, অথচ নির্দেশক কোথায়?

“মমতার রেকর্ড ভেঙে ডাক্তারদের সমর্থনে ২৪ ঘণ্টার আন্দোলনে ভাস্কর ঘোষ, থ্রেট কালচারে নতুন প্রশ্ন!”

ভাস্কর ঘোষদের অনশনে চিকিৎসকদের প্রতি সমর্থন

গতকাল, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ভাস্কর ঘোষ ও তাঁর সমর্থকরা ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসে চিকিৎসকদের প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেন। এই আন্দোলন স্বাস্থ্য সেক্টরের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকদের দুর্দশার সমস্যায় নতুন প্রশ্ন তুলছে— সত্যিই কি চিকিৎসকরা রাষ্ট্রের সেবা করতে চান, নাকি তাঁরা অন্য কিছু খুঁজছেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীদের সফল আন্দোলন

একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে যখন সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য অনশনে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে দেন। সরকারের প্রতিরোধের মধ্যেও জনগণের অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলা সমাজের দুর্বলতার চিত্র তুলে ধরেছে।

থ্রেট কালচার নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা

এবং এই আন্দোলন শুধুমাত্র চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য নয়, বরং সরকারের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষিত থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ। ভাস্কর ঘোষদের প্রশ্ন, “কেন একজন ডাক্তার প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে কাজ করতে হবে?” এটি সমাজের সাংস্কৃতিক দিকটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

গভর্ন্যান্সের বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি নজর দিচ্ছেন, যা দেশের গভর্ন্যান্সকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দুর্নীতি, হিংসা এবং অসঙ্গতির এক বড় মেঘ আমাদের রাজনৈতিক আকাশে দেখা দিয়েছে, যা জনগণের উদ্বেগ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি করছে।

জনতার আবেগ ও মিডিয়ার ভূমিকা

এখন যখন চিকিৎসকদের আন্দোলনে নানান নেতা যুক্ত হচ্ছেন, তখন সমাজের বিভাজন ও গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশ্ন উঠছে। মিডিয়া এই আন্দোলনকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে কি না, সেটা ভাবার বিষয়।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন

সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে, সরকারের বিরুদ্ধ জনগণের প্রতিবাদ যদি বৃহত্তর আকার নেয়, তাহলে এটি সতর্কতামূলক সংকেত। শক্তিশালী সমাজ গড়ার স্বপ্ন রাজনৈতিক শ্লোগান হয়ে থেকে যাবে, যদি নেতৃত্ব এসব প্রশ্নের উত্তর না দেয়। নেতাদের আজকের এই সংকট মোকাবিলা করার পদ্ধতি সকলের ভাবনার বিষয়।

মন্তব্য করুন