দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম মুছে ফেলাটা, সত্যিই এক নাটকীয় রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চের চিত্র। ক্ষমতার গদিতে বসা নেতাদের পেছনের কুশীলবিত্বকে উন্মোচন করছে, জনমানসে প্রশ্ন উঠছে ন্যায়ের। ইতিহাসের কলঙ্ক মুছে ফেলতে চাওয়া, নাকি সত্যের দিকে চোখ বন্ধ করা— এই দ্বিধায় আজকের সমাজ।
রাজনৈতিক নাটক ও আদালতের নির্দেশনা
বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত সম্প্রতি উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে, নির্যাতিতার নাম মুছে ফেলার জন্য। এটি একটি গভীর সামাজিক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে, যেখানে সরকার এবং জনগণের মধ্যে একটি অস্পষ্ট দূরত্ব দেখা যাচ্ছে।
মূল বিতর্কের সংকট
আদালতের এই নির্দেশনা কি সত্যিই নির্যাতনে শিকার ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করবে? নাকি এটি সমাজের কৃত্রিম সৌন্দর্যবাদকে আরও প্রগাঢ় করবে? সরকারের অধীনে সত্যের একটি বিপরীতমুখী চিত্র এঁকে দেওয়া হবে কি?
গণমাধ্যমের ভূমিকা
মিডিয়া কি এ ধরনের নির্দেশনা নিয়ে মৌন থাকবে? বা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আরও প্রবলভাবে কথা বলবে? জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া যেন শীতল বাতাসের মতো খোদার সম্মুখে, এমনকি জানালার ফাঁক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
পরিষ্কার কথা হল, রাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ কেবল একটি সমসাময়িক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক চেতনার সংকটও। জনতার কামড়ানো প্রশ্ন, সঠিকতা কি আদৌ প্রতিষ্ঠিত হবে?
উপসংহার
এই দূরের আনুগত্য কি আমাদের সমাজে সত্যের আলোকে এনে দেবে? নাকি ইতিহাসের পাতায় একটি আরেক বিদ্রূপের অধ্যায় হয়ে উঠবে? রবীন্দ্রনাথের আঙ্গিকে ভাবলে, “মানুষের সৃষ্টি করা অন্ধকারে কি দেখা যাবে?”