রাজনীতির পঞ্চম স্তম্ভ আজ ধর্মতলায় একতরফা অরন্ধন করছে, যেন বাতাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ত্রাস আর হিংসা। নেতাদের গর্জন, জনগণের আর্তনাদ—সব মিলিয়ে যেন এক অভিজ্ঞান। অথচ জনগণের স্বার্থে ভাবনা কি কিছু? সভ্যতার এই অশান্ত স্রোতে, আমরা কি শুধু স্রোতস্বী তুমি-আমি হয়ে রয়ে যাব?
রাজনীতির নাটক: ধর্মতলায় অরন্ধনের আহ্বান
রবিবার, ধর্মতলার ঐতিহাসিক সশক্তিতে সারা কলকাতা নতুন করে জেগে উঠল। সেখানে অরন্ধনের গুঞ্জন, মানুষের রক্তে স্রোতের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। রাজনীতির ছবির পর্দায় নানা চেষ্টা, নেতাদের প্রতিশ্রুতির পালাবদল, তবে বাস্তবে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। জনগণের চিন্তা ও আকাক্সক্ষার সাথে এই নাটকের সম্পর্ক অদ্ভুত।
নেতৃত্বের সন্ধানে: সাফল্য এবং ব্যর্থতা
আমাদের নেতা, যিনি এই আশা দেখিয়েছেন, তিনি কি সত্যিই সফল? জনগণের দুঃখ, অধিকারহীনতা – এসবের কি কোনো প্রতিফলন আছে? তাঁদের কষ্ট সত্ত্বেও নেতাদের কথাবার্তার মোড়কে সব কিছু মিলে যাচ্ছে। “মন্ত্রীদের অপদার্থতা, নেতাদের সদিচ্ছা” – শুনতে ভালো লাগলেও বাস্তবতা দুর্দশাগ্রস্ত। জনগণের উপলব্ধি এবং রাজনৈতিক বক্তৃতার ওপর নির্ভরশীলতার মধ্যে একটি গভীর হতাশা তৈরি হয়েছে।
সরকারের গতিশীলতা: উন্নয়নের ঝড়ে
রাজনীতির গতিবিধি আর কারো অজানা নেই। ধর্মতলায় যখন আওয়াজ উঠছে, তখন শাসকগোষ্ঠী খোঁজ নিচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি, উন্নয়নের মুখ্যমন্ত্রী যেন নতুন উপলব্ধির সাথে ফিরছেন। কিন্তু জনতার দাবি অসমান; উন্নয়ন মানে তো সম্পদের বিতরণ। বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।
মিডিয়ার ভূমিকায়: খবরের সত্যতা
মিডিয়া আজ যেন এক অদ্ভুত অবস্থানে। খবরের প্রচার, সমালোচনা ও জনগণের মতামত সবই মুখরোচক অলঙ্করণের মাঝে চাপা পড়েছে। তারা কাদের হাতে তথ্য দেয়? সম্পাদকদের, না রাজনৈতিক পণ্ডিতদের? সমাজের বাস্তবতার সাথে তাদের সম্পর্ক কতটা সত্যি? সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠস্বর কোথায়?
জনতার ঐক্য: নতুন এক অভিযোজন
জনতা এবার সাড়া দিয়েছে। তারা ধীরে ধীরে আন্দোলনের ঢেউ তৈরি করেছে। ধর্মতলায় এখন শুধুমাত্র আর্দ্রতা নয়, বরং নতুন এক মানবিক বোধের উন্মেষ ঘটছে। প্রশ্ন হলো, কি নেতা গুরুদের বাণী বিশ্ব শুনবে? জনতার ঐক্য কি তাঁদের হারানোর পথে নিয়ে যাবে?
আসুন মনে রাখি, সব পথ ধর্মতলায় এসে মিলতে পারে, তবে যদি মানুষ সত্যিই চায়, তাহলে একদিনের অরন্ধন নয়, বরং স্থায়ী পরিবর্তন আসবে। তাই আমাদের এই পরিবর্তনের সুযোগটি গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক নাটকের দিকে নজর রাখুন; কারণ ঠাণ্ডা গ্যালারিতে এখন এক নতুন পরিবর্তনের প্রত্যাশা রয়েছে।