কিসের জন্য আমাদের আনন্দ? পি চিদম্বরমের বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যাদের সমর্থনে ঝড় উঠেছে, তাদের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের চায়ের দাম এক কথায় ধাক্কা। ক্ষুধার্ত যাত্রীরা যখন দামে হতাশ, তখন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে উঠেছে, বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণের আপত্তি শুনতে হয়। খোদ আমাদের মন্ত্রীদের আকাক্সক্ষাও যেন সাধারণ মানুষের মতই, তবে কি খেলাপি চায়ের সাথে তাদের কথাও মেলে?
সভ্যতার সংকট: চায়ের দামে মানুষের প্রতিবাদ
সম্প্রতি পি চিদম্বরমের এক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ো আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছেন, কলকাতা বিমানবন্দরে চায়ের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য একটি চরম সমস্যা। আজকাল, কি আমাদের দেশবাসী চায়ের জন্য এই পরিমাণে অর্থ খরচ করতে রাজি?
একটি মৌলিক অধিকার নাকি বিলাসিতা?
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, যাত্রীরা বলছেন, চায়ের দাম যেন আকাশছোঁয়া! সাধারণ মানুষ নাটকীয়ভাবে অত্যাধিক মূল্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তা দেখে মনে হয়, দাম বৃদ্ধির এই লীলায় সরকারের নজরই পড়ল না। এক্ষেত্রে, রাজনীতির মঞ্চে আমাদের নেতাদের কর্মক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নড়েচড়ে বসা
অবশেষে, দায়িত্ববান কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসল। কি সংবেদনশীল খবর! যখন জনগণের দামে উচ্চারণ নিয়ে আলাপ হয়, তখন কি দেশের শাসকদের আত্মসমালোচনা করার সময় হয় না? এ যেন রবীন্দ্রনাথের কল্পকাহিনী, যেখানে সাধারণ মানুষের আওয়াজ ও নেতা-নেত্রীদের নির্বিকার ভূমিকা।