শিয়ালদা ট্রেন বাতিলের নাটক: রাতে এক কথা, সকালে অন্য—রাজনীতির খেলার মাঠে দ্বিচারিতা!

NewZclub

শিয়ালদা ট্রেন বাতিলের নাটক: রাতে এক কথা, সকালে অন্য—রাজনীতির খেলার মাঠে দ্বিচারিতা!

শিয়ালদা শাখায় ট্রেন বাতিলের ঘটনায় পূর্ব রেলের অস্পষ্ট কথার মধ্যে যেন রাজনৈতিক নাটকের পর্দা। এক রাতে যা বলা হচ্ছে, সকালে তা ভুলে যাওয়ার উন্মাদনা—সরকারের এই ভঙ্গির মধ্যে আমাদের সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কেমন বিচ্ছিন্নতা, তা ভাবানোর মত। জনগণের দুর্ভোগে হলো বিনোদন; শীতলির নিচে কি তবে ঘূর্ণিঝড়ের ভিন্ন কাহিনি?

শিয়ালদা ট্রেন বাতিলের নাটক: রাতে এক কথা, সকালে অন্য—রাজনীতির খেলার মাঠে দ্বিচারিতা!

রাজনৈতিক নাটকের পেছনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

শিয়ালদা শাখায় লোকাল ট্রেন বাতিলের ঘটনা যেন এক নাটকের মঞ্চায়ন। এই পরিস্থিতিতে সাহসী পরিচালক এবং প্রতিভাধর অভিনেতাদের অভাব দেখা যায়নি। যখন সারা বিশ্ব ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে থমকে গেছে, পূর্ব রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, “সবকিছু স্বাভাবিক।” কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেই কথা পাল্টে গেল, এবং অবশেষে ঘোষণা এল, “ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে।” ফলে সরকারের এ ধরনের ভিন্নমত একে অপরকে পরিপূরক করে তুলছে।

নেতৃত্বের অভাব

এমন অসঙ্গতি আমাদের নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবের পরিচয় দেয়। জনগণের স্বার্থ রক্ষায় গভীর চিন্তাভাবনা না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। রাতের ঘোষণাগুলো দিনের আলোতে যেন আর কার্যকর নয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে, তাদের জনগণের প্রতি কীরকম দায়িত্ব রয়েছে।

রাজনৈতিক বিতর্কের উৎস

সরকার যখন ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছে, তখন সমাজের মধ্যে সংশয় এবং বিশাল অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, “এটাকে কি শুধুই নাটক বলা যাবে?” সমালোচকদের অভিযোগ, “যদি তারা প্রস্তুত না থাকে, তাহলে জনগণের আশ্বাস কোথায়?” এই বিতর্ক কেবল ট্রেন বাতিলেই নয়, সরকারের সকল পরিকল্পনাও এতে অন্তর্ভুক্ত।

গণমাধ্যমের ভূমিকা

মিডিয়া আবার ঘটনার মধ্যে একটি বিশাল প্রভাব ফেলছে। খবরের সঠিকতা যেন এক বোর্ড গেমে পরিণত হয়েছে। কখনো কখনো তারা একরকম সংবাদ প্রচার করছে, কিন্তু আসল তথ্য অন্য কোথাও। জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস বেড়ে চলছে, কিন্তু তারা এখনও অপেক্ষা করছে—‘কবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবে’।

সামাজিক মনোস্তত্ত্বের পরিবর্তন

জনগণের মধ্যে নতুন অনুভূতি জেগে উঠছে; তাদের বিশ্বাস আগের মতো নেই। সবাই ভাবছে, “কেন নেতাদের বক্তব্য আজকের বাস্তবতার সাথে অমিল?” যেখানে দায়িত্বের অভাব, সেখানে অপ্রত্যাশিত ঘটনার উদ্ভব হবে। এ যুগে জনগণের ধারণা পরিবর্তিত হচ্ছে; তারা রাজনৈতিক নাটকের দর্শক হিসেবে নিজেদের ভাবছে, অথচ তারা এর মূল ভূমিকা পালন করছে।

সারসংক্ষেপ

এই উত্তাল রাজনৈতিক পরিবেশে, ক্ষমতার প্রভাবের চেয়ে জনগণের স্বার্থই প্রধান বিষয়। সত্যিকার অর্থে, আমাদের প্রয়োজন একটি সুষম ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের, যারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাববে। নাহলে, আগামী দিনের জন্যও এই নাটকীয়তা চলতে থাকবে।

মন্তব্য করুন