রাজ্য সরকারের পরিকল্পনাগুলি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হলেও, ২০২৪ সালে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন বাতিল করা যেন বাণিজ্যিক স্বপ্নের শেষ। বিদেশী শিল্পপতিদের আদর যত্নের খোঁজে, প্রশ্ন উঠছে—প্রকল্পে সাফল্য না, অতিথি আপ্যায়নে বরং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা? রাজনীতি ও সমাজের জায়গায় ক্রমশ এই আইপিসি যেন এক অদ্ভুত নাটক।
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের বাতিল: রাজকীয় অনাচারের পরিচয়
২০২৪ সালের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের বাতিল ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে একটি নতুন অশনি সংকেত হিসেবে দাড়িয়েছে। রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক যে কোনও ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ও অস্বচ্ছতা এখন সমাজের এক প্রবল চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছিল, তখনই সরকার এই সম্মেলন স্থগিত করে দেশের অর্থনীতির জন্য সংকট সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন কি আসলেই বুঝতে পারছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কতটা বাধাগ্রস্ত হবে?
বৈঠকের পরিকল্পনা: প্রস্তুতি চলছে
শিল্পপতিদের আগমন, তাদের থাকার ব্যবস্থা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে যাচ্ছে। অথচ, ঠিক এমন সময়ে এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগ নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ কি শুধুমাত্র মিডিয়াতে দৃষ্টিপাত করার জন্য, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? মুখ দেখানোর ভয়ে কি এ সম্মেলন বাতিল করা হলো?
জনগণের প্রতিক্রিয়া: রাগ নাকি হতাশা?
এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছেন, “এটাই কি সরকারের বাস্তবতা? শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আবারও পিছনে ফিরে গেল!” আবার অনেকে বলছেন, “এটি সরকারের অসহায়ত্বের চিহ্ন, যারা নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা করছে।” এসবের মাঝে জনগণের উদ্বেগ স্পষ্ট। সত্যিই কি আমাদের শিল্পের উন্নতির পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে না? নাকি সামান্য প্রতিবন্ধকতায় আমরা ফের ফিরে যেতে ভাবছি?
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: বিপরীত প্রতিচ্ছবি
বিপরীত রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। “এটি আমাদের শিল্প এবং বাণিজ্য স্থাপত্যকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা,” বলছেন এক বিরোধী নেতা। প্রশ্ন কিন্তু এখানে অবস্থানই নয়; আসলে কি এখানে কোনও প্রতিযোগিতা আছে, না কি এটি শুধুই বক্তব্যের খেলা?
সম্ভাবনার সংকেত: কি দিচ্ছে বার্তা?
এখন শিল্পপতিরা কি বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশগুলোতে ফিরে যাবেন? যদি আমাদের রাজনীতির অঙ্গীকার একভাবে চলে, তবে উন্নয়ন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতাও সম্ভব কিনা? সমাজের প্রতিটি স্তরে এসব সমস্যার প্রকৃত মূল্যায়ন ও আলোচনা প্রয়োজন। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের সময় এসেছে। আমাদের একটি সুস্থিত ও সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংক্ষেপে: শিল্পের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের বাতিলের কারণে একটি প্রশ্নই উত্থাপিত হচ্ছে—”আমরা কীভাবে পিছিয়ে পড়ব?” সরকার এবং রাজনৈতিক নেতাদের উচিত এসব সংকেতের দিকে নজর দেওয়া এবং সামনে এগিয়ে আসা। শিল্প ও সংস্কৃতির flujo বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব, নচেৎ রাজনৈতিক নাটকের জন্য আবারো অপেক্ষা করতে হতে পারে।