মমতার ‘রাত্তিরের সাথী’: মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা, কিন্তু রাজনীতির পটভূমিতে কি সত্যিই আছে ভরসার আলো?

NewZclub

মমতার ‘রাত্তিরের সাথী’: মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা, কিন্তু রাজনীতির পটভূমিতে কি সত্যিই আছে ভরসার আলো?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের পুনর্নবীকরণে প্রসারিত হচ্ছে সরকারের প্রতিশ্রুতি, যেন রাতে স্বাধীনভাবে বিচরণকারী মহিলাদের জীবনে আশ্বাসের আলো ফেলে। কিন্তু একদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা, অন্যদিকে রাজনৈতিক স্বার্থ: এই দ্বন্দ্বে কি সত্যিই নিরাপত্তার সেই আদর্শ পৌঁছাবে? গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে হাতে তুলি রাখার সাহস কে পাচ্ছে?

মমতার ‘রাত্তিরের সাথী’: মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা, কিন্তু রাজনীতির পটভূমিতে কি সত্যিই আছে ভরসার আলো?

রাজনৈতিক সকাল: ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের উদ্বোধন

বঙ্গের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করলেন, তাঁর শাসনামলে নারীরা যেন রাতের কলকাতায় নিরাপদে হাঁটতে পারেন। সম্প্রতি ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যা নারীদের কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। জনগণের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট, এটি কেবল একটি অ্যাপ নয়, বরং নারীর স্বাধীনতার প্রতীক।

পুলিশি নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

রাতের কলকাতায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা চলছে। এই প্রকল্প, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার আলোকে সংশোধিত হয়ে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়াস হিসেবে দেখা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, রাতের কলকাতায় সুরক্ষিতভাবে ঘুমানো কি সত্যিই সম্ভব হবে, নাকি এটি কেবল একটি আশার প্রলোভন?

সামাজিক যোগাযোগের প্রতিক্রিয়া

মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা এবং মতামত সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষভাবে উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে; কেউ বলেন, ‘রাত্তিরের সাথী’ শুধুমাত্র একটি মিডিয়া প্রচার হিসেবে তৈরি হয়েছে, আবার অনেকের মতে, এটি নারীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সংশোধন করেছি, আশা করি জনগণের উপকারে আসবে।”

রাজনৈতিক কৌশল এবং সমালোচনা

রাজনীতির মাঠে প্রতিযোগিতার সময় এই প্রকল্প কেবল স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রিয়তা অর্জনের একটি কৌশল হতে পারে। মমতার বিরুদ্ধে বিরোধীদের সংস্কার তুলে ধরতে এই প্রকল্পটি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলি সামাজিক দায়িত্ব পালনের সঙ্গেই রাজনৈতিক সুবিধাও পেতে পারে। তাহলে প্রশ্ন হলো, এসব প্রকল্প কি নারীদের জীবনকে প্রকৃতপক্ষে বদলে দিতে পারবে?

মহিলাদের সচেতনতা এবং পরিবর্তনের উদ্যোগ

তাহলে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে আমরা মহিলারা কীভাবে যুক্ত হতে পারি? সামাজিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে নতুন করে চিনতে হবে। যদি প্রকল্পটি সফল হয়, তবে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন। তবে, এই আশার সত্যিই বাস্তবায়ন ঘটবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভিন্ন দৃষ্টি

ভারতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারি উদ্যোগগুলোর সামাজিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। যখন সচেতন নাগরিকরা নারীর আদর্শ পরিবর্তনের পক্ষে আওয়াজ তুলবেন, তখন ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প বাস্তবায়ন একটি নতুন দৃষ্টান্ত হতে পারে। এই মুহূর্তে, প্রশ্ন হলো, নতুন প্রকল্পগুলো কি বাংলাকে এগিয়ে নেবে, নাকি পুরনো ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে?

মন্তব্য করুন