“মাংসের সংস্পর্শে অসুস্থ সমাজ: মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণে রোগীর প্রতিবাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টালমাটাল!”

NewZclub

“মাংসের সংস্পর্শে অসুস্থ সমাজ: মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণে রোগীর প্রতিবাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টালমাটাল!”

বসুদেব ঘোষের অভিযোগে উন্মোচিত হলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অযোগ্যতার কালো চিত্র; মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বিতরণ, যেন সরকারী সেবা প্রদানের মহানীতির হাস্যকর লেশ। প্রান্তিকের ব্যথা উপেক্ষা করে, আমরা কি কেবলমাত্র জনতার প্রতিরোধের সুর ফেলার জন্য অপেক্ষা করছি? ইতিহাস কি আবারও আমাদের বাড়ির পোষ্য গরুর কাছে নিয়ে যাবে?

“মাংসের সংস্পর্শে অসুস্থ সমাজ: মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণে রোগীর প্রতিবাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টালমাটাল!”

  • নবকুমার মণ্ডলের গ্রেফতার: বিজেপির বুথ সভাপতির খুনের নাটক ও সমাজের নৈতিক পতন! – Read more…
  • বিজেপি নেতার চাঞ্চল্যকর কটাক্ষ: ‘ইউনুস কাকা চাপের মধ্যে’, মার্কিন নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হাওয়ার পরিবর্তন – Read more…
  • রক্তের প্রতিশোধের দাবিতে উত্তাল বোলপুর: আইন ও গণরাগের সংঘর্ষে প্রতিবেশীদের গর্জন! – Read more…
  • অভিষেকের কলকাতা প্রত্যাবর্তন, মমতার কালীপুজোতে উপস্থিতি; জন্মদিনের রাত পোহালে রাজনীতির নতুন সমীকরণ! – Read more…
  • হাওড়ার ট্রেন দুর্ঘটনা: নেতৃত্বের অস্থিরতা, প্রশাসনের অক্ষমতা, সমাজের অনুন্নতি! – Read more…
  • মালদার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিতরণ করা হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

    মালদা জেলার মঙ্গলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বসুদেব ঘোষ সম্প্রতি শাসকের কাছে একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যখন তিনি চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, তখন তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়। এই ঘটনা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা নিয়ে একটি মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।

    অভিযোগের পটভূমি

    বসুদেব ঘোষ গৃহপালিত গরুর আক্রমণে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ওষুধ দেওয়ার ব্যাপারে অসতর্ক ছিলেন। এর ফলে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, যা সমাজের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি একটি সংকটের সংকেত দেয়।

    শাসকের ভূমিকা ও জনগণের প্রতিক্রিয়া

    জেলা শাসকের এই ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কি তারা সত্যিই জনগণের স্বার্থে নজর রাখছেন? বসুদেব ঘোষের মতো সাধারণ মানুষের সমস্যায় শাসকদল কতটা দায়বদ্ধ?

    গভীর অর্থনীতি ও সমাজের চিত্র

    এটি কেবল একটি আর্থ-সামাজিক সমস্যা নয়; বরং একটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত। সরকারের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং মানবিক সহায়তার বিষয়গুলো যতটা প্রশংসনীয়, বাস্তবতার অঙ্গনে তা প্রত্যাশিত নয়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অসাধুতা এবং পশুর আক্রমণের ঘটনা সমাজের বৃহত্তর কাঠামোর অভাব প্রকাশ করে।

    মিডিয়া ও সমাজের দায়িত্ব

    মিডিয়া কি কখনও সেইসব প্রতিবেদনে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে? বসুদেবের সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি? এরকম ঘটনা প্রতিদিন ঘটে, এবং আমাদের উচিত এই বিষয়ে ভাবা।

    রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্ক

    এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসা খুবই স্বাভাবিক। নেতারা কী বক্তব্য দেবেন? সাধারণ মানুষের অধিকার ও সেবার স্বার্থ রক্ষায় তাদের কতটুকু ভূমিকা থাকবে? প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় নৈতিকতার মধ্যে ফারাক ক্রমেই বাড়ছে।

    সামাজিক আন্দোলনের সম্ভাবনা

    বসুদেব ঘোষের অভিযোগ একটি সামাজিক আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করতে পারে। যদি জনগণ একত্রিত হয়ে injustices এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে প্রস্তুত হন, তাহলে পরিবর্তন আসতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক জীবন কি শুধুই নির্বাচনের বাজার? কারণ মানুষের স্বাস্থ্য এখন বড় একটি প্রশ্ন।

    চূড়ান্তভাবে, বসুদেব ঘোষের অভিযোগ কেবল তাঁর ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক সংকটের প্রতীক। যখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য উদ্বেগ থাকবে, ততদিন আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে।

    মন্তব্য করুন