কলকাতা পুলিশের প্রতি জনসাধারণের বিশ্বাস হারানোর মধ্যে রয়েছে সমাজের নৈতিক বিপর্যয়, যেখানে বিনীত গোয়েল অসৎ উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের প্রচারের কটাক্ষ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ও খবরের মানহানির পেছনে ক্ষমতার খেলায় নাগরিকতার মর্যাদা হতাশার পৃষ্ঠে লেখা, যেন রাষ্ট্রের গায়ের চামড়া এলোমেলো হয়ে গেছে, আর মিষ্টি কথা তো যেন তালগোল পাকিয়ে ঘরের কোণে পড়ে রয়েছে।
কলকাতা পুলিশের দাবি ও সন্মানহানির বিতর্ক
সম্প্রতি বিনীত গোয়েল মন্তব্য করেছেন, ‘অসৎ উদ্দেশে সংবাদমাধ্যমের করা প্রচারে কলকাতা পুলিশ জনগণের আস্থা হারিয়েছে।’ এ পর্যন্ত বুঝা যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যম এবং পুলিশের সম্পর্কের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা। কলকাতা শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা যেন একটি নাটকীয় আবহে প্রবাহিত হচ্ছে।
গভীর উদ্বেগের চিত্র
পুলিশের এই বক্তব্যে দেখা যায়, মধ্যবিত্তের আত্মবিশ্বাসে নতুন এক জোরদার নাড়া। একদিকে, সর্বত্র উদ্বেগের পরিবেশ। অন্যদিকে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের নিরাপত্তা?
মিডিয়ার ভূমিকা
এখন আমরা ভাবতে বাধ্য হচ্ছি, মিডিয়া কি জনস্বার্থের অভিজ্ঞান, নাকি তা হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার? এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার কারণে আজকের সমাজে চাপা অসন্তোষ বাড়ছে। জনগণের বিশ্বাসের জায়গায় এখনও কি সংবাদমাধ্যম স্থলভাগের গদ্য?
পাল্টে যাওয়া সময়ের দাবী
রাজনৈতিক অভিজ্ঞান এবং সমাজের দর্পণে পিছিয়ে পড়ছে ক্রমশ। বিনীত গোয়েলের বক্তব্য সেই ব্যবধানের একটি প্রতীক মাত্র। জনগণের হতাশা একদিকে, অপরদিকে গণমাধ্যমের বিতর্ক। এই দ্বন্দ্ব কি আমাদের আগামী রাজনৈতিক চিত্রকে পরিবর্তন করবে?
সামাজিক পরিবর্তনের গতি
আসুন, আমরা ভাবি—এই পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে আমাদের সমাজ বদলাচ্ছে। রাজনীতির ওপর জনগণের বিশ্বাস যে দুর্বল হয়ে উঠেছে, তার দিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। রাজনৈতিক যোদ্ধাদের জন্য এটা এক নতুন চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের প্রত্যেককে ভাবতে বাধ্য করছে।