উৎসবের মরশুমে কলকাতার বাতাসের শুদ্ধতা নিয়ে গরম আলোচনা চলছে, যখন নেতৃবৃন্দ পরিবেশের কথা বলছেন, কিন্তু চুপ করে মেনে নিচ্ছেন নিজেদের দায়বদ্ধতা। গবেশনানো প্রলাপ, আর সাধারণ মানুষের কষ্ট যেন মাধুরী পেতে পেয়ে গিয়ে গরজে বাজিতেছে। সমাজের স্বাস্থ্য ও রাজনীতির অপদার্থতা, এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বের নাটক।
- মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি; উপনির্বাচনে শাসকের আবেদন: জনগণের আসল মুখচ্ছবি কী? – Read more…
- শিক্ষার্থীদের ট্যাবের প্রতিশ্রুতি, সরকারী প্রতারণা নিয়ে ক্ষোভে ছাত্র সংগঠন: মেদিনীপুরের জনতায় অস্থিরতা! – Read more…
- নাবালিকার বিরুদ্ধে দাদুর ধর্ষণের অভিযোগ: সমাজের গতি ও নৈতিকতার সংকটের চিত্র ফুটে উঠল! – Read more…
- “প্রধান শিক্ষকদের ওপর চাপ: শিক্ষার টাকা বিলম্বে প্রশাসনিক গাফিলতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও সমাজের অসন্তোষের প্রেক্ষাপট” – Read more…
- “২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেভাগে, বিদ্যালয় পর্ষদের বিপরীতে ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকারে গলদঘর্ম রাজনৈতিক নাটক!” – Read more…
কলকাতার বাতাস এবং উৎসবের প্রভাব: রাজনীতি কি বলছে?
উৎসবের মরসুমে যখন আমাদের রাজনীতির নেতাদের মুখে হাসি খেলে, তখন তাঁর পেছনে কিছু অমীমাংসিত প্রশ্নও চাপা পড়ে থাকে। এবার যেভাবে দূষণমুক্ত বাতাসের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা চলছে, তাতে কলকাতার বাতাসের মান নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সত্যি কি আমাদের নেতারা শুধু বিলবোর্ডে কথা বলছেন, নাকি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়াও আমাদের জন্য একটি অন্ননীয় বিষয়।
দূষণের সমস্যা এবং কাশফুলের উপস্থিতি
যখন আমরা কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিই, তখন দূষণ আমাদের চারপাশে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে না। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট করেছে যে কলকাতার বাতাসের গুণগত মান বিপজ্জনকভাবে অবনতি হচ্ছে। অথচ সরকারের কাছে কোথায় সেই অঙ্গীকার? নেতারা বলছেন, “সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে,” কিন্তু কলকাতাবাসী বাস্তবতা বুঝতে পারছেন। জনগণের প্রশ্ন: “নীতির প্রয়োগ হলেও কি হবে, যদি বাতাসে বিষাক্ততা থাকে?”
জনগণের সচেতনতা এবং আন্দোলন
আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। একজনের ‘হ্যাশট্যাগ’ এখন সংগঠন তৈরি করতে সক্ষম। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই আন্দোলনগুলি কখনও কখনও জীবনযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সরকার কি তাদের কণ্ঠ শুনছে, নাকি আগের মতোই বলা হচ্ছে, “আমরা জানি, আমরা করবো।”
নেতাদের উল্লাস এবং রাজনৈতিক নাটক
নেতাদের বক্তব্য মাঝে মাঝে রাজনৈতিক নাটকের কাহিনীর মতো প্রতিভাত হয়। তারা বলেন, “আমরা পরিষ্কার দৃষ্টি দেব,” কিন্তু শহরের দূষিত পরিবেশকে প্রভাবিত করছে কি? আমাদের প্রয়োজন এসব বক্তৃতার বিভ্রান্তি কাটানো। জনগণে মনে সঙ্কা, “নির্বাচনের সময় আমরা কি শুধু বক্তৃতার আস্বাদ নেব?”
মাধ্যম এবং সুশাসন
মিডিয়ার ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনও তারা পরিস্থিতি স্বচ্ছ করতে সাহায্য করে, আবার কখনও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের শিকার হয়। বর্তমান সময়ে যদি কোনো নেতার কাহিনী মিলিয়ে যায়, মিডিয়া কি তাকে অনুসরণ করবে? পরিস্থিতিতে চাপ প্রতিহত করতে সরকার যেন সময়ক্ষেপণ করছে। লড়াই চললেও, কলকাতার বাসীদের রাতের আকাশে দূষণের প্রভাবের কি হবে?
উপসংহার: আমাদের কণ্ঠস্বর
রাজনৈতিক নাটক এবং সামাজিক বাস্তবতার সংঘর্ষ আমাদের হতাশ করে। কিন্তু পরিবর্তনের জন্য আমাদের একত্রিত হতে হবে। কলকাতা দূষণের পালাবদলে আটকা পড়লেও, আমরা কি সত্যিকারভাবে দায়িত্বশীল হবো? রবীন্দ্রনাথের প্রতিচ্ছায়ায়, আমাদের উচ্চারণ হতে হবে আমাদের ভবিষ্যতের কণ্ঠস্বর। আগামী উৎসবের পর কী ঘটবে, তা কেবল সময়ই বলবে।