চিকিৎসার অভাবে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুভার চিত্র তুলে ধরছে। জুনিয়র ডাক্তারদের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৈঠক হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন остается—কীভাবে পাবেন রোগীরা চিকিৎসা? রাজনৈতিক নাটকে যেন সবটাই এক অবিরাম কাহিনী, যেখানে প্রকৃত মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।
বাংলায় চিকিৎসা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা: জুনিয়র ডাক্তারদের সংকট
থেমে থাকা চিকিৎসা সেবা ও মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার প্রশ্ন এখন গরম হয়ে উঠেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই বিষয়ে শুনানি হবে, আর বক্তৃতার তালে নাচতে থাকা প্রশাসনের মূর্তিতে কিছু নেই।
মুখ্যসচিবদের সাথে বৈঠক: অশান্তির আড়ালে
মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান নিশ্চিতভাবে স্পষ্ট হয়নি। রাতে দশটার পর বৈঠক শেষ হলেও ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের তৎপরতা আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর রোগীদের হতাশায় মানবিকতা কোথায়, সে প্রশ্ন যে তীব্র, তা বলাই বাহুল্য।
অসুস্থ সমাজের দর্পণ
তিনি কি সচেতন নন, যিনি হাজারো লোকের জীবনে অবসাদ বিস্তার করেন? টিভির পর্দায় মুখ দেখানো নেতাদের যে করুণ রসিকতার আবরণ, তা বিড়ম্বনা সৃষ্টির উত্তরাধিকার। জনগণের জীবনে চিকিৎসার সঙ্কটে রাজনৈতিক উদাসীনতা আজ আরেকবার স্পষ্ট।
রবীন্দ্রনাথের শব্দে বলি, “মানবতার অবনতি হয় ক্ষমতার অন্ধত্বে।” তাই সময় এসেছে রাজনীতির অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করার, যাতে মানুষ ভাবে, প্রতিটি প্রাণের মূল্য যেন না অপমানিত হয়।