দক্ষিণবঙ্গের জলমগ্ন দশা যেন এক নতুন নাটকের বাঁধা! বন্যারিত হাত থেকে মুখ রক্ষা করতে যুদ্ধরত জনগণের পাশে প্রশাসনের উদাসীনতা প্রশ্ন তুলছে। সেতুর ভাঙা স্বপ্ন ও ধসে পড়া বাঁধের চলমান ছবি রাজনীতির নাটমূর্তি, যেখানে নেতৃত্বের এলাহি দাবি এমন সময় দগ্ধ, যখন সাধারণের জীবন বিপন্ন। প্রশাসনের কর্মতৎপরতা আর জনগণের হতাশা—দুইয়ে মিলে যেন এক ভয়াবহ কবিতা, যা প্রতিদিনের সংবাদ পত্রে ছাপা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের জলমগ্ন দুর্দশা
একটানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলা সমূহে খানাতল্লাশির মতো পরিস্থিতি। বাঁধ ধসে, সেতু ভেঙে, মানবজাতির চিরকালীন দুর্বিসহতা আবারো প্রমাণিত। সরকারী নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে সাধারণ মানুষ কিন্তু রণভূমিতে; কখনও নদীবাঁধ পাহারা দিচ্ছে, কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন।
শাসকের দায়িত্ব এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা
রাজনৈতিক অঙ্গনে যেসব মুখগুলো আমাদের দিব্যি উত্তেজিত করে, আজ সেসবই যেন বিস্মৃতিতে। যাদের হাতের উপর আমাদের ভরসা, তারা কি নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন? নদীর জল থামলেও, রাজনৈতিক জলছবি বদলানোর প্রয়োজনীয়তা কি হারিয়ে গেছে?
সমাজের আত্মনিবেদন
এহেন বিপদে আদৌ কি সমাজের উপর সংস্কৃতি ও মানবিকতার প্রভাব রয়েছে? বিপত্তির এই সময়ে, স্থানীয় সরকারের তৎপরতা কি তবে কেবল লফাজি? বাংলার মাটিতে, বৃষ্টির মতো জরুরি আলোচনাও আজ এক তৃষ্ণার মতো, যা রাষ্ট্রের আকাশে নতুন সমস্যার চাদরে সিক্ত।