দুর্গাপুজোর সময় শহরের আলোকসজ্জা যতই আকর্ষণ করুক, বিদ্যুতের উচ্চ চাহিদা বোধহয় সরকারকে হতাশ করেই যাচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো প্রকাশ্যে আসা যেন পুজোর রঙিন কিছুর অন্তরালে, প্রশাসনের গাফিলতি ঢাকার এক নতুন কৌশল। তেমনি, থিমের পুজোয় ডুবে থাকা সমাজের ভেতরে চলা অন্ধকারের চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের দায়িত্বহীনতার এক মর্মান্তিক পরিবেশনা।
পুজোর সময় বিদ্যুতের চাহিদা: রাজনৈতিক সমস্যার খোঁজ!
দুর্গাপুজোর আনন্দ বাংলায় ফিরে এসেছে, যা শুধু দেবী দুর্গার আগমনের উদযাপন নয়, বরং এর সাথে যুক্ত হয়েছে সরকারের নতুন কর্মকাণ্ডের এক অধ্যায়। এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা এতটাই বেড়ে যায় যে, বিদ্যুৎ অফিসগুলো যেন চাঁদে বসে কাজ করছে। পুজোর মণ্ডপগুলি যখন আলোকমঞ্চে gleam করে, তখন পেছনে রাজনৈতিক সত্যগুলি প্রকাশ পায়। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, সবাই অপেক্ষা করে বিদ্যুতের।
পুজোর প্রস্তুতি: সরকারের অঙ্গীকার নাকি বিপর্যয়ের আশঙ্কা?
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, দুর্গাপুজো কন্ট্রোল রুমে দুটি নম্বর খোলা থাকবে। তাহলে কি এই উদ্যোগ সরকারের কার্যকারিতা প্রকাশ করবে? নাকি সাধারণ জনগণ শুধুমাত্র বিদ্যুতের গোলযোগের জন্য অপেক্ষা করবে! সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি হলো শক্তিশালী ব্যবস্থা; কারণ বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে বোঝা যাবে কখন আমাদের নেতারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
সঙ্কটের কারণ এবং বেড়ে যাওয়া দাবিদাওয়া?
শহর ও গ্রামে থিমের পুজো চলছে, কিন্তু এর পেছনে কিছু বিচিত্র রাজনৈতিক নাটক চলছে। বিদ্যুতের এই ব্যাপক চাহিদা প্রকাশ করে রাজ্যের সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো। জনবিরোধী নীতির কারণে অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তির সময় এসে গেছে। “পুজো কি শুধুই জামা-কাপড়ের বিষয়, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কি সুস্থ?” এই প্রশ্নটি সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সরকারের পরিকল্পনা: বিপদ কাটানোর উপায় কি?
সরকার কি সত্যিই এই রাজনৈতিক নাটকগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে? পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা তৈরির পথে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি? বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখানেই আমাদের নেতাদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
জনসাধারণ: পুজোর পরে কি সমস্যার সমাধান হবে?
জনসাধারণের আশা, সরকার বিদ্যুতের চাহিদার গুরুত্ব বুঝবে; কারণ তারা পরিবর্তন চান। ডিসেম্বর মাসে যে দাবিদাওয়া সম্বলিত কোটা পাবেন, নাকি পুজোর পরে সরকার সেই সংকটের মূলে যাবে? আমাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনকে সংরক্ষিত রাখতে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। তাই, মৃত্যুর থেকে মুক্তি পাওয়ার কি কোনো আশা রয়েছে? আজকের পুজোর আবহে এটি এক অমূল্য প্রশ্ন।