নাদিয়াল থানায় ওসি ও এসআই সোমা তরফদারের মধ্যে চরম মনোমালিন্য, প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতার এক নতুন চিত্র তুলে ধরেছে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সেই মহিলা এসআই যখন ধরনায় বসেন, তখন মনে হয়, শাসন ব্যবস্থার কোঠাদৃষ্টির ঘরছাড়া অবস্থা আমাদের গণতন্ত্রের ঘৃণ্য রূপটাকেই ফুটিয়ে তোলে। নেতাদের উদাসীনতায় জনসাধারণের সংকোচ প্রকাশ পাচ্ছে, আসলে কে কার জন্য?
নাদিয়াল থানায় নারীর প্রতিবাদ: পুলিশ প্রশাসনে অব্যবস্থা
মহিলাদের ক্ষমতায়নের সুরে যখন সমাজ এগিয়ে চলেছে, তখন নাদিয়াল থানায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। সেখানে এসআই সোমা তরফদার অভিযোগ করেছেন, তিনি থানার ওসি দ্বারা দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে ওসি তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর পরিবর্তে বেপরোয়া আচরণ করেছেন। এ ঘটনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
তথ্য বিভাজনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা
গণতন্ত্রের কাজের সচ্ছতা যখন বিপর্যস্ত, তখন কর্তৃপক্ষের অবহেলা আমাদের সমাজকে আক্রান্ত করে। এসআই সোমার অভিযোগ প্রমাণ করে যে, নারীর ক্ষমতার প্রশ্নে একটি সত্যিকার দ্বন্দ্ব চলছে। এই পরিস্থিতিতে, নারীর অধিকার কৌশলে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে—যেন বলা হচ্ছে, “নারী হয়ে ওঠা অসম্ভব”।
অভিযোগ ও প্রতিকার
এসআই সোমা যখন ওসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যান, তখন তাকে অপমানিত হতে হয়। এভাবে যদি কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করা হয়, তাহলে সমাজে নতুন কলঙ্কিত অধ্যায়ের সংযোগ ঘটবে। সোমা জানিয়েছেন, “অধিকার চাইলে হয় মৃত্যু অথবা কঠোর অভিজ্ঞান”।
মহিলার প্রতিবাদ: সমাজের উন্নতির প্রতীক
যদি মহিলাদের অপমানের পরিস্থিতি ঠিক না হয়, তাহলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে, এসআই সোমা থানার সামনে ধরনায় দাঁড়ান। এটি যেন একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদের সমাজে নারীর অবমাননা একটি স্থায়ী সমস্যা।
গভীর প্রশ্ন: “এটাই কি সভ্যতা?”
এখন প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ প্রশাসন কি সত্যিই নারীর পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত? এই সংঘর্ষের ফলে প্রশাসনের কার্যক্রমে উন্নতি সম্ভব কি? কি নারীর পরিশ্রম ও ভূমিকা অস্বীকার করা হচ্ছে? আমাদের অবকাঠামো কি নারীর মূল্য ঠিকভাবে চিহ্নিত করছে?
সার্বিক চিত্র এবং ভবিষ্যৎ
সমাজ যখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য ব্যাকুল, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা তাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এসআই সোমার আন্দোলন এক্সপ্রেস করে শুধু তার ব্যক্তিগত প্রতিবাদ নয়, এটি নারীর অধিকার ও কল্যাণ নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সুতরাং, সময় এসেছে আমাদের রাজনীতির কাঠামো পুনরায় মূল্যায়ন করার, যেখানে নারীর প্রতি সম্মানের গুরুত্ব খুঁজে বের করতে হবে।