রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন কেন্দ্রীয় রেফারেল পদ্ধতি চালু করেছে, চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবির প্রেক্ষাপটে। কিন্তু বাস্তবে দেবাশিসদের অভিযোগ, এই সিস্টেমে স্বচ্ছতার অভাব ও শাসনের দুর্বলতা প্রতিফলিত হচ্ছে। এদিকে, সমাজের অসন্তোষ কি শুধুই শব্দের খেলা, নাকি আসল পরিবর্তনের ডাক? সত্যি বলতে, রাজনীতির এই পটভূমিতে একরকম ফানুস হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমরা, আলো ছড়াতে গিয়ে যা-তা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে কিছুই পারছি না।
কেন্দ্রীয় রোগী রেফারেল পদ্ধতির প্রবর্তন: নতুন আশা নাকি পুরনো বিতর্ক?
রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রীয় রোগী রেফারেল পদ্ধতি চালু করেছে স্বাস্থ্য ভবন। চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি মধ্যে এটিও একটি। কিন্তু, নতুন এই ব্যবস্থার শুরুতেই অভিযোগের স্রোত বেড়ে চলেছে। দেবাশিসদের ধারণা, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটি কি কখনোই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছিল?
নেতাদের বক্তব্য: কি বলছেন তারা?
শাসনের দৃষ্টিতে, রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারাই প্রথমে নিজেদের সাফাই দিতে প্রস্তুত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রবীণ নেতা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, “এটি আমাদের সরকারের একটি বৃহত্তম উদ্যোগ। জনগণের স্বাস্থ্যই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” তবে, জনসাধারণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিতর্ক কি সঠিক? কেবল কথার ফুলঝুরি নয় তো? প্রশ্ন উঠছে—এভাবে কি আসলেই কার্যকর হবে এই নতুন প্রণালী, নাকি এটি শুধু এক নতুন নাটক?
দেবাশিসদের অভিযোগ: বাস্তবতা কী ভিন্ন?
দেবাশিসদের অভিযোগ, নতুন এই পদ্ধতি রোগীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে। রোগী রেফারেলের কারণে চিকিৎসা প্রক্রিয়া থমকে গেলে রোগীর নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এটি কি সেই বিখ্যাত ঘটনা নয় যেখানে গাধার পিঠে সোনালি পদকের নাম লেখা ছিল, কিন্তু সেই পদক কার্যকর ছিল না?
জনমত: মিডিয়ার অন্তর্ঘাত
মিডিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করছে। নাগরিক সমাজের অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, “কেন্দ্রীয় রেফারেল পদ্ধতি কি নতুন রোগ?” অথবা “যদি সমস্যা না থাকে, তবে কেন এত আন্দোলন?” জনগণের মন উন্নয়নের দিকে থাকলেও, রাজনৈতিক নেতাদের আকাঙ্ক্ষা কি শুধু সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করা বাক্য সাজানো?
সারসংক্ষেপ: রাজনীতির নতুন অধ্যায়?
শেষ প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় রেফারেল পদ্ধতির মাধ্যমে কি রাজনীতি ও সামাজিক চিত্র বাস্তবে সংহত হতে পারবে? নাকি এখানে থাকবে কেবল রাজনৈতিক দেশান্তর? Tagore-এর সেই কথাটি মনে রাখতে হবে—“জীবনে কোনো সাফল্য বিনা চেষ্টা পাওয়া যায় না।” যদি চেষ্টার মধ্যে রাজনৈতিক গম্ভীরতা না থাকে, তবে সফলতার তাৎক্ষণিকতা কেবল একটি মিথ হবে।