“এক বিধায়ক স্যান্ডুইচ-চকোলেটের অভাবে আন্দোলনে, বাকিরা কি রাজনীতি না খাবার নিয়ে!?”

NewZclub

“এক বিধায়ক স্যান্ডুইচ-চকোলেটের অভাবে আন্দোলনে, বাকিরা কি রাজনীতি না খাবার নিয়ে!?”

একজন বিধায়কের স্যান্ডুইচ আর চকোলেট অনশনে অংশ না নেওয়া, আর বাকিদের “অপমানজনক” রাজনৈতিক ফটোগ্রাফি—এই নাটকীয়তায় কেমন যেন এক নতুন দ্বন্দ্ব ফুটে উঠছে। রাজনীতির মঞ্চে কেমন যেন বিলাসিতা আর দর্শনীর কুৎসিত চিত্র, যেখানে জনতার গড় চিত্রটাই যেন নষ্ট। রাজনীতির এই টানাপোড়েনের মধ্যে, সাধারণ মানুষের সত্যিকার দাবি কোথায়?

“এক বিধায়ক স্যান্ডুইচ-চকোলেটের অভাবে আন্দোলনে, বাকিরা কি রাজনীতি না খাবার নিয়ে!?”

‘অনশন’ নাটক: সম্মুখীন রাজনৈতিক পরিবর্তন

রাজনৈতিক নাটক নতুন কিছু নয়, তবে حالের পরিস্থিতি সকল কিছুকে পরিবর্তিত করেছে! যখন ৩০ জন বিধায়ক নিজেদের অবস্থান জানাতে স্যান্ডুইচ ও চকোলেট হাতে অনশনে বসেছেন, তখন সেটি আমাদের শাসন ব্যবস্থার অন্তরালে চলা গভীর রহস্যকে প্রকাশ করে। গোলমাল Surrounding আন্দোলনের সময় একজন বিধায়ক হঠাৎ করেই চমক সৃষ্টি করেছেন—তিনি হলেন অসাধারণ ‘অনিকেত’।

স্যান্ডুইচের বদলে বিবেকের জন্য অনশনে

অনিকেত বলেছেন, “আমি স্যান্ডুইচ বা চকোলেটের পরিবর্তে দেশের জন্য সচেতনতার আহ্বানে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি সত্যিই বিরল, যিনি গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তুচ্ছতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের সমাজ যেন প্রতিদিন ছোট-বড় বিভ্রান্তিতে ডুবে যাচ্ছে।

দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা

এই অনশন রাজনীতির একটি নতুন মানসিকতা নির্দেশ করছে। আমজনতা কি এসব অস্পষ্টতার মাঝে নিজের অবস্থান খুঁজে পাচ্ছে? এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনশনের ইতিহাস তৈরি করেছে, আমাদের সংস্কৃতি তো বিদ্রোহও করেছে। রাজনীতি এখন খণ্ডিত হয়ে পড়েছে।

মিডিয়া ও জনমত

বিধায়কের অনশন কি দেশের বৃহত্তর সমাজে কিছু পরিবর্তন আনতে পারবে? মিডিয়া কি নবজাগরণের এক নতুন চিত্র তুলে ধরবে? আমাদের গণমাধ্যম কি এভাবে চিন্তা করবে? মিডিয়ার প্রচার দর্শকের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু মানবিক সহানুভূতির যুগ কি অযাচিতভাবে হারিয়ে যাবে?

চ্যালেঞ্জের সামনে

অনিকেতের এই বক্তব্য যে কেন্দ্রীয় হয়ে উঠেছে, তা স্পষ্ট। এটি জনমতকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন করবে—বাস্তবে জনগণের স্বার্থের কতটুকু প্রতিনিধিত্ব হচ্ছে? নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বিচারিতার কারণে কি আমরা পিছিয়ে পরছি? রাজনীতিতে পরিবর্তন কখনোই প্রচারিত হবে না, যদি নীতিগতভাবে কিছু পরিবর্তন না হয়।

সমাজে পরিবর্তনের সূচনা

তাহলে, আমরা সকলেই আছি—কবে শেষ হবে এই নাটক? ‘অনিকেত’ সাহেবের বিপ্লবী গানের সুর শুনতে পাবো? 아니면 স্যান্ডুইচ-চকলেটের ভঁড়ীতে আমাদের সমাজের গল্প শেষ হয়ে যাবে? হয়তো সময় উপযুক্ত নয়, কিন্তু আশা করি, আমাদের সমাজের সৃজনশীলতা আরও একবার প্রকৃত পরিবর্তনের পথে এগোবে।

মন্তব্য করুন