অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার নতুন সুর; নথিপত্রের পেছনে কি পাচ্ছে জনতা?

NewZclub

অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার নতুন সুর; নথিপত্রের পেছনে কি পাচ্ছে জনতা?

সরকারের নতুন নির্দেশনায় অনলাইন আর্থিক লেনদেনে ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করার কথাটা যেন তাজা বাতাসের নয়, বরং অব্যবস্থাপনার এক অভিনব নতুন মোড়। হাতে রসিদ, ডকেট নম্বর – কিন্তু কিসের জন্য? আমাদের ন্যায্যতা কি এখন নথির ভারে চাপাপড়া? মানুষের বিশ্বাসের ওপর বিধবাদের ক্রমবর্ধমান ভার – যত সামনে এগোচ্ছি, ততই কি গভীর হচ্ছে গলদ?

অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার নতুন সুর; নথিপত্রের পেছনে কি পাচ্ছে জনতা?

অনলাইনে আর্থিক লেনদেন ও গভারনেন্সের নতুন রূপ

সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের সার্বিক প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করার জন্য একটি ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করা হবে। এহেন নির্দেশিকার ফলে সংশ্লিষ্ট নাগরিকরা তাঁদের আবেদন পত্রের জন্য নির্ধারিত ডকেট নম্বর পাবেন। জনসাধারণের প্রতি যে নিবন্ধন রসিদ দেওয়া হবে, সেটি যেন এক নতুন প্রশাসনিক নজরদারির সূচনা করে, সে সম্পর্কে মনে হয় এক ধরনের অস্থিরতা।

প্রশাসনিক কার্যকারিতা নাকি অবিশ্বাসের সংস্কৃতি?

রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি জনতার প্রতিক্রিয়া কি ক্রমই স্থায়ী অবিশ্বাসে রূপ নিচ্ছে? অনেকের ভাষ্যে, সরকারের এই পদক্ষেপগুলি নিছকই কাগজের ওপরের কল্পিত বিচার। একদিকে উন্নয়নের বাণী, অন্যদিকে স্বচ্ছতার পেছনে লুকিয়ে থাকা গোপনীয়তা—মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, কই যে সেই অঙ্গীকার?

গণতন্ত্রের এই বোধনা

আর্থিক লেনদেনের পথ ধরে প্রশাসনিক দক্ষতার আশ্বাস দেওয়া হলেও, তা কি আদৌ জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে? বা এটি শুধুই একটি চাতুরী, যা জনগণের মাঝে নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে? রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “মানবতা যেন ডুবে না যায়।” তবে কি সত্যিই মানবতার সন্ধান পাওয়া যাবে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে? প্রশ্ন রয়ে গেল।

মন্তব্য করুন