দুর্গাপুজোর এ সমীরণে নাচ-গান ছাড়াও হারিয়ে যাওয়ার আতঙ্কও বাসা বাঁধে। পুলিশকে বলছে, মদ্যপ চালকদের রেষারেষি ঠেকাতে সতর্ক থাকো, কিন্তু প্রকৃতিতে কোথাও গাঢ় সন্দেহ। ১০ হাজার পুলিশ বাহিনী তো আছেই, কিন্তু কে খুঁজবে হারানো আত্মা? তবুও, প্রশাসনের কড়াকড়ির মনে আনন্দের সুর বাজে; ঢাকা পড়ে যায় নেতৃত্বের খামতি, সমাজের নষ্টালোকের উপর গভীর সরস্ ব্যঙ্গ।
দুর্গাপুজোর উন্মাদনা ও প্রশাসনিক উদ্যোগ: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
দুর্গাপুজোর সময় জনসমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায় প্রতিবছরই ঘটে। যখন সবাই আনন্দে মেতে উঠে, তখনি উদ্বেগ তৈরির সময় আসে। অনেক পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কেউ ভিড়ে হারিয়ে যায়, তাহলে তাকে একটি বিশেষ নম্বরে ফোন করতে হবে। পুলিশ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হতে পারবে?
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট
দুর্গাপুজোর সময় নিরাপত্তার জন্য জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মদ্যপ চালকদের রোধে ট্র্যাফিক গার্ডের কড়া নজরদারি থাকবে। যদিও সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবুও একাধিক সময় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার অভাবে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়ে। এতে করে জাতীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
১০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন
দুর্গাপুজোর সময় বাড়তি ১০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনী জনসমুদ্রে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত। তবে, জনসাধারণ এখনও হানাহানি ও অশান্তির ভয়ে থাকে। পুজোর আনন্দে স্বাধীনতার অনুভূতি থাকা উচিত! কিন্তু কি প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে সেই স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব?
নবান্নের রাজনৈতিক হাস্যরস ও বাস্তবতা
সরকারের পদক্ষেপগুলো প্রথম নজরে ভালো মনে হতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রের হাস্যরস কি আদৌ কার্যকর? জনসাধারণের জন্য একটি নম্বর, যা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাস্তবে সমস্যার সমাধান কতটা করবে? নাকি এগুলো সবই কেবল বাগাড়ম্বর?
নিরাপত্তার অধিকার ও জনগণের দায়িত্ব
যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিচার করি, মদ্যপ চালকদের দাপট ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, কিন্তু এর সঙ্গে জনগণের দায়িত্বও থাকতে হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কিছু মানুষ ওই দুর্ভাগ্যের চক্রে আবদ্ধ থেকে বেরোতে চায় না। প্রশাসন ও সমাজের মধ্যে সমন্বয় এবং দায়িত্ববোধ জরুরি।
সামাজিক আন্দোলন ও ক্ষমতা দখল
অতীতের দুর্গাপুজো উপলক্ষে আমরা দেখেছি, উৎসব শেষে অনেকেই পরস্পরের কাছে নিজেদের অবশিষ্ট রেখে যায়। রাজনৈতিক আন্দোলনের স্বার্থে। কিন্তু পুজোর সময়ের পরে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন হয়। কি এখন সময় হয়েছে এমন আন্দোলনের, যা জনগণের অধিকার রক্ষায় সাহায্য করবে?
এবারের দুর্গাপুজো যেন শুধুমাত্র একটি উৎসব না হয়, বরং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করার একটি সময়! আসুন আমরা আশাবাদী, চারপাশের সচেতনতা এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করি। ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করুন, আসুন আমরা নিরাপদ থাকি।