“কলকাতা পুরসভার নতুন ভবন: তৃণমূলের প্রশংসা-সমালোচনা, ইতিহাসের স্মারক হবে চ্যাপলিন সিনেমা হল”

NewZclub

“কলকাতা পুরসভার নতুন ভবন: তৃণমূলের প্রশংসা-সমালোচনা, ইতিহাসের স্মারক হবে চ্যাপলিন সিনেমা হল”

কলকাতা পুরসভার পুরনো ভবনে অফিসের ভিড় বেড়েছে, অথচ নতুন ভবনের মহাপ্রজেক্টের কাহিণী যেন দেরিতে আসে চ্যাপলিনের হাসির মত! ২০১৬ সালে শিলান্যাস, ২০২০ সালে কাজ শুরু, আর এখন ফলক উন্মোচনের অপেক্ষায়—এটা কি কৌতুক, নাকি শাসনের নাটক? তৃণমূলের হাত ধরে ভবন তৈরির প্রচেষ্টা যেন সমাজের অব্যবস্থার এক প্রতীক, যেখানে প্রথমে পরিকল্পনা, পরে কানা খোঁজা, আর শেষে ইতিহাসের গর্ভে চাপা পড়ে যায় যথার্থতা।

“কলকাতা পুরসভার নতুন ভবন: তৃণমূলের প্রশংসা-সমালোচনা, ইতিহাসের স্মারক হবে চ্যাপলিন সিনেমা হল”

  • বারাবনির অফিসার ইন চার্জ মনোরঞ্জন বাবু সাসপেনশন: শাসন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও জনগণের ক্ষোভ! – Read more…
  • গোটা রাজ্যে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা নাকি সামাজিক অবক্ষয়? জরুরি আলোচনা প্রয়োজন। – Read more…
  • নোয়াপাড়া জংশনে ট্রেনের সম্ভাবনা: যাত্রী নিরাপত্তা বনাম উন্নয়নের বাস্তবতা – Read more…
  • তৃণমূলে রদবদল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত কি বদলাবে রাজনৈতিক চিত্র? – Read more…
  • বিধবা ভাতার মাধ্যমে ২০ লক্ষ নারীর পাশে, সরকারের ৩ হাজার কোটি টাকার বোঝা! কেন এমন নিশ্চিন্ত? – Read more…
  • কলকাতা পুরসভা: নতুন ভবন নির্মাণের প্রেক্ষাপট ও জনগণের মতামত

    কলকাতা পুরসভা, যা প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক, বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণে ব্যস্ত। ২০১৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, তবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। পুরনো ভবনের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় যে, মানুষ সেখানে কাজ করতে আগ্রহী নয়। এই কারণে নতুন একটা শক্তিশালী ভবনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—এর দ্রুততা কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?

    চ্যাপলিন সিনেমা হলের ইতিহাসের গুরুত্ব

    নতুন ভবনে একটি ফলক স্থাপন করা হবে, যেখানে চ্যাপলিন সিনেমা হলের ইতিহাস উল্লেখ থাকবে। চ্যাপলিন, যিনি চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন, কলকাতার সাংস্কৃতিক জীবনে একটি বিশেষ স্থান দখল করেন। কিন্তু, এই ফলক স্থাপনের পিছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি? তৃণমূল কংগ্রেস কি সত্যিই ইতিহাসকে সন্মান জানাতে চায়, নাকি শুধু জনসাধারণের মন জয় করার জন্য এটি একটি প্রচারণা?

    জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া

    জনসাধারণের মধ্যে আলোচনার রেশ চলছে। বেশিরভাগ নাগরিক মনে করছেন, “নতুন ভবন যদি প্রয়োজন হয়, তবে পুরনো ভবনের ইতিহাসকেও সম্মান জানানো উচিত।” এই চিন্তাটি কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে—বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে কি ইতিহাস হারিয়ে যাবে? তাদের মধ্যে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, “কেন সকল কিছু রাজনৈতিক নাটকের আড়ালে?”

    তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা

    তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য “আমরা উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতির চিত্র ভিন্ন। নির্মাণ কাজের গতিবেগ কি শুধু রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ? নতুন ভবন কি জনগণের সমস্যা সমাধান করবে, না কি এটি শুধুমাত্র নেতা ও তাদের সমর্থকদের জন্য এক রসিকতা হয়ে দাঁড়াবে?

    রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং পরিবর্তন

    দেশ ও সমাজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি ও সংস্কৃতির এই এলাকা কি গতিশীল থাকবে? জনসাধারণের মতামত, তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি এবং ইতিহাসের গুরুত্বকে সমন্বয় করা প্রয়োজন। কলকাতা পুরসভাকে তাদের মূল দায়িত্বের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আসন্ন ভবনটি শুধুমাত্র একটি স্থাপনা নয়, বরং আমাদের উন্নয়নশীল সমাজের স্বপ্নের প্রতীক হয়ে উঠবে।

    মন্তব্য করুন