“শিক্ষার নতুন মায়া: সরকারি স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও, কেদ্র সরকারী নিয়মে ছোটদের ভবিষ্যৎ কি বিপন্ন?”

NewZclub

“শিক্ষার নতুন মায়া: সরকারি স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও, কেদ্র সরকারী নিয়মে ছোটদের ভবিষ্যৎ কি বিপন্ন?”

বাংলার প্রাথমিক স্কুলে নতুন নিয়ম চালুর ঘোষণা রাজনীতির অঙ্গনে সৃষ্টি করেছে এক অস্থিরতা; ৫০ হাজারেরও বেশি স্কুলে, শুধু দু’হাজার স্কুলেই এই পরিবর্তন আসছে। সরকারী পদক্ষেপের এই বিশাল পরিবর্তন, সমাজের বিচিত্র স্তরের শিক্ষার মান উন্নয়ন করবে কি না, তা নিয়ে চলছে বিতর্কের আবহ। আসল বিষয়টা হলো, সঠিক শিক্ষার অভাবে কি কেউ এখনও উচ্চ প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত?

“শিক্ষার নতুন মায়া: সরকারি স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও, কেদ্র সরকারী নিয়মে ছোটদের ভবিষ্যৎ কি বিপন্ন?”

  • কালীর প্রতিমার করুণ বীরত্ব: উৎসবের আগে দুর্ভোগের দাগ, রাজনীতির নাটকে পুজো উদ্যোক্তাদের হতাশা! – Read more…
  • কালীপুজোয় আকাশের খবর এবং রাজনীতির আসরে, শঙ্কার মেঘ কি সরকারের ওপরেও থাকছে? – Read more…
  • রাজনীতির আলো-বাতাসে বাজির শব্দ: পাটুলি থেকে ভবানীপুরে উচ্চারণশীল প্রতিবাদের ঢেউ! – Read more…
  • রাজ্যের নিজস্ব অর্থে আবাস প্রকল্পে মমতা প্রশাসনের বিতর্কিত পদক্ষেপ: ঘরে ঢুকে আসে সমাজের সত্তা! – Read more…
  • মেদিনীপুরের নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ: প্রশিক্ষণ শেষ, কিন্তু পদের জন্য কারা নেবে দায়িত্ব? – Read more…
  • বাংলা শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন পর্ব

    বর্তমানে বাংলার সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এই বিদ্যালয়গুলোতে আগামী জানুয়ারি থেকে একটি নতুন নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়, বিশেষ করে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এই নতুন নিয়ম প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের অংশ হিসেবে বিবেচিত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি খুব সহজেই উচ্চ প্রাথমিকের সীমানায় পৌঁছেছে।

    শিক্ষা ও রাজনীতি: পিছনের আসল উদ্দেশ্য কি?

    প্রশ্ন হলো, এই নতুন নিয়মের বাস্তবায়নের পিছনে কি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে? দেশের উন্নতির পথে পা রাখতে যাচ্ছে, অথচ শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ঘোষণার উদ্দেশ্য কি জনকল্যাণী? শিক্ষা তো সবসময় জনগণের হাতিয়ার, কিন্তু কখনো কখনো এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। রাজনৈতিক নাটকের এই অঙ্গনে আমাদের চিন্তাভাবনা কি আদৌ পরিষ্কার?

    জনমনে উদ্বেগ ও বর্তমান প্রসঙ্গ

    বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে, জনগণের মতামত যথেষ্ট প্রভাবশালী। শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে এই নতুন নিয়ম নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন শিক্ষক মন্তব্য করেন, “এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীকে একসাথে পরিচালনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের প্রস্তুতি কেমন!” সমাজে এই চিন্তাভাবনা উচ্চারিত হচ্ছে যে, “রাজনীতি মৌলিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে।” বক্তৃতায় শিক্ষকদের দায়িত্ব ও বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

    মিডিয়ার বিভিন্ন বিশ্লেষণ: শিক্ষা ও সমাজের দ্বন্দ্ব

    মিডিয়া সরকারের এই পদক্ষেপকে সমালোচনা করে সমাজের ভাঙনের চিত্র ফুটিয়ে তুলছে। তারা বলছে, “শিক্ষার জন্য মানবিকতা জরুরি, কিন্তু তা কি রাজনীতির চাপে হারিয়ে যাচ্ছে?” ফলে শিক্ষক, পাঠ্যবই এবং ফলাফল সবই থাকবে—কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব? কি আমরা তাদের ভূমিকার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবো? সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা মতামত জমা হচ্ছে, কিছু ইতিবাচক ও কিছু কঠোর সমালোচক। তারা একদিকে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন, অন্যদিকে নতুন ধারার শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা নিয়ে ভাবছেন।

    ভবিষ্যৎ কেমন হবে?

    শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যক্রমের রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে হচ্ছে। স্কুলের পড়াশোনার ক্ষেত্রে জনগণ এখন তাদের কর্তৃত্ব তুলে ধরবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়মের সফলতা বা ব্যর্থতা জনগণের হাতে চলে আসছে; বলা যায়, শিক্ষার দায়িত্ব জনগণের. এই নতুন নিয়মের প্রবর্তন কি বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রের একটি নতুন সূচনা, সেটি সময়ই প্রমাণ করবে।

    মন্তব্য করুন