বর্ষার জল এসে ভুটানের নদী থেকে উত্তরবঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে, যেন ক্ষতি করাই তার উদ্দেশ্য। সাধারণ মানুষের জীবন সংকটে, সরকারি সাফল্যের গল্পে নতুন ছেদ। তৃণমূলের সুরক্ষা দাবি আবারও উঠলো—তাদের কর্তৃত্বের আলোর চাকচিক্যর আড়ালে দূষণের ছায়া। সরকারের দায়িত্বি ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, মানুষের বিপদ যেন রাজনৈতিক নাটকের কুশীলব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্ষা: ভুটানের নদীর জল ও উত্তরবঙ্গের সমস্যা
বর্ষার মৌসুমে জলের চাহিদা বাড়ে, তবে যখন সেই জল প্রতিবেশী ভুটানের নদী থেকে আসে, তখন তা শুধুমাত্র বর্ষার আনন্দ নয়; বরং উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসে। নদীর জল, যা পরিবেশগত দুষণ সঙ্গে নিয়ে আসে, সেটিও একটি উদ্বেগের বিষয়। আমাদের উচিত ভাবা, কিভাবে আমরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করব যখন প্রতিবেশী দেশের জল প্রবাহ আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে?
দূষণ ও বানভাসী পরিস্থিতির দায়ভার
যখন দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে, তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলছে, “পানি আসছে, তবে আমাদের সুরক্ষা কোথায়?” বর্ষায় জলপ্রবাহ এবং উদ্ভূত পরিবেশগত সংকট কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু, মানসিক চাপের পাশাপাশি সত্যিকার উন্নয়ন কি এই রাষ্ট্রযন্ত্র করে যাচ্ছে?
নেতাদের কার্যক্রম: জনপ্রিয়তা নাকি দায়বদ্ধতা?
রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের জনপ্রিয়তার জন্য সচেতন নেতাদের আজ সত্যিকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মহামারী এবং জল সংকটের পরিস্থিতিতে জনসমর্থনের জন্য লড়াই চালাতে হচ্ছে। জনগণের সর্বাধিক বিশ্বাসের নেতা কি সত্যিই তাদের স্বার্থে কাজ করছেন, নাকি রাজনৈতিক কৌশলের জন্য কেবল অভিনয় করছেন?
দায়িত্ব ও বাস্তবতার সংঘাত
ভুটানের জল আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, এবং এসময় তৃণমূল নেতাদের প্রতিজ্ঞার মধ্যে বিপরীতধর্মী অবস্থান দেখা যাচ্ছে। তাদের বক্তৃতা অসহায়ত্বের গল্প শোনাচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। প্রশ্ন হলো, এই নেতাদের কি মানুষের দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি রয়েছে, নাকি তারা নিজের অবস্থান রক্ষা করতে ব্যস্ত?
গণমত: জনগণের সংকল্প পরিবর্তনের সুরে
এখন জনগণ আর নিরব নয়। আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে মানুষের মধ্যে সরকারের কার্যক্ষমতা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। পরিবর্তনের আবহে, রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ভোট ব্যাংক তৈরিতে ব্যস্ত, কিন্তু জনগণ একটি নতুন পরিবর্তন চাচ্ছে। এই পরিবর্তন কি আসবে? সাধারণ জীবনে কি আরেকটু স্থিতিশীলতা আসবে, নাকি তসলিমা নাসরিনের সেই বিখ্যাত প্রশ্ন শহরের রাজপথে আবারও উত্তপ্ত হবে?
তথ্য প্রকাশ ও রাজনৈতিক সম্ভাবনা
এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের নিজেদের ভূখণ্ড থেকে জাতীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমাদের দাবি দীর্ঘমূলক এবং আমাদের সমাজের পরিচয় স্থাপন করতে হবে। রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের প্রকৃত পথ রচনা করা জরুরি। সেই সত্যটি উপলব্ধি করা এখন সময়ের দাবি, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় উদ্বেগ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
রাজনীতির খেলা শুধুমাত্র শব্দের খেলা হয়ে গেলে, প্রতিদিনের জীবনে ভুটানের নদীর জল আমাদের আশা ভেঙে দেবে। হয়তো সময় এসেছে, আমরা অবৈধ জল প্রবাহের বিরুদ্ধে একাত্মভাবে আওয়াজ তুলি।