মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলা শুনানির প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের তৎপরতা, তৃণমূল কংগ্রেসের মাঠে নামা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁসির দাবিতে মুখরতা, সবই যেন নাটকীয় রাজনৈতিক মঞ্চে এক অভিনব সাজাতন্ত্র। বিজেপিকে অসুরের সঙ্গে তুলনা করে সাগরিকার বক্তব্যে উঠে এসেছে গোঁজেলানির কেচ্ছা, যা আমাদের সমাজের দুর্বোহা সত্যকে ফুটিয়ে তোলে। এই উন্মাদনা কি আদৌ কি বিবেককে জাগ্রত করবে, নাকি রাজনৈতিক সঙ্কটের কলঙ্কে অতীতের গরমিলেই গড়বে যুগের পর যুগ?
রাজনৈতিক উত্তেজনা: সুপ্রিম কোর্টের শুনানি ও তৃণমূলের আন্দোলন
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানিতে সিবিআই অফিসারদের তৎপরতা। এই শুনানির পূর্বে, তৃণমূল কংগ্রেস বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে রাজপথে নেমে পড়েছেন। জনসাধারণের মনোভাব ও সরকারের কর্মপ্রণালী নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা সমাজের অন্তর্নিহিত সংকটকে তুলে ধরছে।
রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে সাগরিকার এক তীক্ষ্ণ মন্তব্য
এদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে সাগরিকার তীক্ষ্ণ মন্তব্য, “এরা যেন এক অশুভ অসুর”, রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। নেতাদের প্রতি জনগণের অসন্তোষ এবং সংকটের অঙ্গভঙ্গি ক্ষেত্রে, এই বাক্যবিনিময় আমাদের রাজনৈতিক চিত্রকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধরছে।
জনতার ক্ষোভ ও সরকারের জবাবদিহি
এই ঘটনাবলী শুধু এক রাজনৈতিক নাটক নয়, বরং ক্ষমতার লোভে কাটাছেঁড়া করা সমাজের এক বাস্তব চিত্র। জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারের জবাবদিহির অভাব স্পষ্ট। রাজনীতির এই অবস্থা আমাদের দিকনির্দেশনায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সারস্বত তাত্ত্বিকতা ও করুণাকে মনে করায়।