নাবালিকার নিখোঁজ: সমাজের অন্ধকারে কাকু-মেয়ের রহস্য, রাজনীতির নীতিতে প্রশ্ন তুলে দিল।

NewZclub

নাবালিকার নিখোঁজ: সমাজের অন্ধকারে কাকু-মেয়ের রহস্য, রাজনীতির নীতিতে প্রশ্ন তুলে দিল।

এ যেন সময়ের পাখির ডানায় রক্ত, যখন এক নাবালিকা নিখোঁজের খবর শোনে সমাজ। পরিচিত এক কাকুর সঙ্গে খাবার কিনতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির সন্ধানে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়লেও সমাজ তখনও গুরুতর প্রশ্নের মুখোমুখি—কোথায় গেল সেই দায়িত্ব? নেতাদের প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কথার খোরাক? বিবেকের দায় কখন পাবো আমরা?

নাবালিকার নিখোঁজ: সমাজের অন্ধকারে কাকু-মেয়ের রহস্য, রাজনীতির নীতিতে প্রশ্ন তুলে দিল।

  • পুজো শেষ, শোভা নেই: পুরসভার জরিমানা ও বিজ্ঞাপনের ভিড়ে নগরী কেমন? – Read more…
  • গাছ প্রতিস্থাপন: আইনের নামে প্রকৃতির সাথে খেলা, যা বাঁচতে পারে না, আপোসের রাজনীতির চিহ্ন! – Read more…
  • ঐতিহাসিক আগমনে অমিত শাহ: রাজনীতির খেলা আর সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির টালমাটাল! – Read more…
  • কল্যাণের মেজাজ হারানো, জগদম্বিকার সামনেই ভাঙল বোতল – রাজনীতির নাটকে হাতের আঙুলও পেল চোট! – Read more…
  • হাওড়ার রেশন ডিলারের বাড়িতে ইডি তল্লাশি: রাজনৈতিক খেলার নতুন অধ্যায়ে জনগণের আগ্রহ বৃদ্ধি! – Read more…
  • নাবালিকা নিখোঁজ: মায়ের দুঃখ ও পুলিশের উদাসীনতা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা নয়া বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ৮ দিন আগে, একজন নাবালিকা তার পরিচিত কাকুর সাথে খাবার কিনতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মায়ের চেষ্টা সত্ত্বেও কাকুর অবস্থান কিছুতেই জানা যাচ্ছে না। প্রথমদিকে মা থানায় ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশি ব্যবস্থা গড়িমসি করছে, ফলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

    এই ঘটনা দেশ জুড়ে প্রশাসনের এবং পুলিশের কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একজন নিরপরাধ শিশুর জীবন বিপন্ন হলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে নির্লিপ্ত থাকা সম্ভব? মায়ের কান্নায় ফুটে উঠছে আমাদের সমাজের একটি ক্রান্তিকাল—একটি প্রতিক্রিয়াশীল প্রশাসন, অনুগত মিডিয়া এবং সচেতন নাগরিকদের অজ্ঞতা।

    সামাজিক অস্থিরতা ও সরকারের সংশ্লিষ্টতা

    সামাজিক অস্থিরতার মূল কারণ হলো আমাদের সমাজের অভিজাতদের আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা। যখনই কোন নারীর উপর অমানবিক বর্বরতা ঘটে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাররা পূর্ণ সামর্থ্যের সাথে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। কিন্তু, এই প্রতিবাদগুলি অনেক সময় রাজনৈতিক খেলায়কে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলে, যেখানে উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ভোট অর্জন এবং কূটনীতি। অথচ, সাংবাদিকরা সংবাদে সাধারণত উচ্চারিত করেন “এটি একটি অগ্রাধিকার।”

    মিডিয়ার ভূমিকা: সংবাদ প্রতিবেদক নাকি সুপারহিরো?

    মিডিয়া এই ধরনের ঘটনার দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দ্বিধা করে না, কিন্তু প্রশ্ন হলো—তাদের প্রতিবেদনের ক্ষতিকর দিকগুলি কি উন্মোচিত হচ্ছে? যেন তারা স্রেফ চমকপ্রদ খবরের অপেক্ষায়। রবীন্দ্রনাথের “ছোটোখাটো খুন” কবিতার মতো, মিডিয়া সমাজের মর্মস্থলকে ঢেকে রাখছে। তাদের এই দায়িত্ব সম্পর্কে কি তারা সচেতন?

    নাগরিক সচেতনতা: সমাজের ভবিষ্যৎ

    এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নাগরিক সচেতনতা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা ভাবনার বিষয়। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আমাদের ধারণার ভিত্তি কতটা নড়বড়ে। “মেয়েটির দোষ কি?” এই প্রশ্ন আমাদের সমাজের অর্ধজাগ্রত নাগরিক সচেতনতার প্রতিফলন। কবে নাগাদ আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের সংবেদনশীলতা ফেরত পাব? এভাবেই সমাজে নতুন আলোড়ন তৈরি হবে এবং নতুন নীতির আবশ্যকতা বুঝা যাবে।

    নতুন দিগন্তের দিকে: আশা কবে সার্থক হবে?

    যদি সমাজ আন্দোলন, সাংবাদিকতা ও নাগরিক সচেতনতা একত্রিত হয়, তবে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। তবে, সেটা সম্ভব হবে কেবল আমাদের চিন্তাভাবনার মাধ্যমে, যখন আমরা রাজনৈতিক কূটনীতি থেকে মুক্ত হয়ে, মানুষের সেবায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হব। যতদিন না আমাদের মধ্যে গভীর নৈতিকতাবোধ তৈরি হবে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান ঘটনাগুলি ইতিহাসের পাতায় গায়েব হয়ে যাবে।

    মন্তব্য করুন