মন্দারমণির সৈকত আজ এক ধূসর কাহিনী, যেখানে ভ্রমণপিপাসুরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছেন। দখলে চলে যাওয়া এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন নো–ম্যান্স ল্যান্ডে, বেকারত্বের আক্রোশ নিয়ে বসে আছে হতাশ ব্যবসায়ীরা। কেমন মজার, পর্যটনের মরসুমে গোধূলির সময়েও নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তাহীনতা! কি আশ্চর্য, কিসের উন্নয়ন, যেখানে সৈকতের বিরূপ পরিণতি ‘রাজনৈতিক’ অভিযানকে তুলে ধরছে। কী রকম বিদ্রুপ, রূপালী বাক্যে ফুরফুরে আচারের মতো, অথচ বাস্তবের মর্মান্তিক চিত্র!
মন্দারমণির শুনশান সৈকত: পর্যটকদের উপেক্ষা করছে রাষ্ট্রের অবহেলা
সম্প্রতি এক সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে যে, মন্দারমণি সৈকতে পর্যটকদের অভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি নতুন নো-ম্যান্স ল্যান্ড গড়ে উঠছে। তিনদিনের টানা ছুটিতে বহু পর্যটকের আগমনের প্রত্যাশা থাকলেও, বাস্তবতা ভিন্ন। ডিসেম্বর মাসের প্রতিটি বিকেলে সৈকতটি জনশূন্য, রাস্তাঘাটে নেই কোনো ভিড়। এতদিন আনন্দের উৎস হিসেবে পরিচিত এই সৈকত এখন কোথাও শুনশান।
ব্যবসায়ীদের হতাশা: ‘স্বপ্নের সৈকত’ আজ ‘নিষ্ক্রিয়’
মন্দারমণির ব্যবসায়ীরা সুস্পষ্ট হতাশায় ভুগছেন। সৈকতের জেলেদের এবং রেস্তোরাঁ, হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য এই পরিস্থিতি একটি সংকট তৈরি করেছে। তারা বলছেন, যদিও সরকার বিভিন্ন আশাবাদী প্রকল্প ঘোষণা করেছে, বাস্তবতা তাদের প্রত্যাশার বিপরীতে। গত বছর ডিসেম্বরে যখন সৈকতের চারপাশে পর্যটকদের ভিড় ছিল, এবার সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ বিরাজমান। তারা মনে করেন, ‘রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা’ এর পেছনে অন্যতম কারণ।
রাজনৈতিক নেতাদের কাছে জনতার ডাকে প্রতিবাদের ঝঙ্কার
রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। মন্দারমণি রাজ্যের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও, এখানে সরকারী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জনতার আলোচনা চলছে, ‘আমরা প্রতিবাদ করবো, কিন্তু কিভাবে?’ রাজপথের আন্দোলন ও সমাবেশ যেন রাড়িয়ে যাচ্ছে। নেতাদের জন্য আগে যেখানে প্রতিবাদ ছিল এক ‘সোনালী যুগ’, বর্তমান পরিস্থিতি সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দিচ্ছে।
গভীর অসন্তোষ: সমাজের টানাপোড়েনে প্রকৃতির নিস্তব্ধতা
মন্দারমণির সৈকতের বর্তমান দশা একটি গভীর অসন্তোষের চিত্র তুলে ধরছে। সৈকতের সৌন্দর্য এক সময় ছিল আনন্দের উৎস, কিন্তু এখন তা হয়ে উঠেছে নিস্তব্ধতার প্রতীক। এই পরিস্থিতি রাজ্যের নিরাপত্তা ও অগ্রগতির লক্ষ্যে নতুন প্রশ্ন তুলছে। জনগণের মৌলিক চাহিদার অমিল কি ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করবে?
মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা: সমাজের অবস্থা তুলে ধরা
মিডিয়া কি এখন কিছু করবে? মন্দারমণির সৌন্দর্যকে তুলে ধরে কি সৃষ্টিশীলতা ফিরিয়ে আনবে? সংবাদ মাধ্যম জনতার জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম; কিন্তু যদি তারা স্থবির থাকে, তাহলে কী হবে? মন্দারমণি কেবল একটি সৈকত নয়, এটি আমাদের সমাজের একটি প্রতিফলন। এটি আমাদের আধুনিকতার সাথে যুক্ত। কথাটি সত্য, ‘সৈকতের সৌন্দর্য সবাইকে আকর্ষণ করে, কিন্তু তার মূল্যায়ন কীভাবে হবে?’
উপসংহার: সমাজের কবিতা না রাজনীতি ও ব্যবসার হারানো সুর?
রাজনৈতিক নাটকের পাত্রপাত্রীদের মাঝে আমরা নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ কীভাবে ধরে রাখা সম্ভব? আমাদের সচেতনতা ও প্রতিবাদের মাধ্যমেই এর সমাধান প্রয়োজন। এখন আমাদের সময় এসেছে একত্রিত হওয়ার এবং মৌলিকতাকে উপলব্ধি করার। যদিও মন্দারমণিতে এখন পর্যটকদের চলাচল কম, আশা করি একদিন ওই সুন্দর সৈকত আবার জনসমুদ্রের স্বরে ভরে উঠবে।