উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আগমন, যেন রাজনৈতিক গর্জনের সুরে নতুন নায়ক রূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলী বার্তা—ঙ্করণের পিছনে কি নাগরিক জীবনের অস্থিরতা, নাকি চলছে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোলপাড়? ল্যান্ডফলের আশায় ভীত, কিন্তু চেয়ে আছে রাহু কেতু ও গণতন্ত্রের মানবিক সম্পর্কের দিকে, এ কি নতুন কিছুর প্রহেলিকা?
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আসছে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে
প্রকৃতি আবারও আমাদের সামনে তার রাগের চেহারা নিয়ে উন্মুক্ত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এখন প্রবলভাবে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। বর্তমান পূর্বাভাসে জানা যাচ্ছে, ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার অঞ্চলে ল্যান্ডফল ঘটতে পারে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফলের ব্যবস্থা না হলেও, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ইতিমধ্যে আমাদের জীবনে দেখা দিতে শুরু করেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মমতার প্রস্তুতি এবং জনগণের উদ্বেগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রস্তুত!” কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, কতটা প্রস্তুতি রয়েছে? চাকরির প্রতিশ্রুতির অভাবের মাঝে বায়ু ও বৃষ্টির মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা কতো? রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার মধ্যে তাদের হতাশার ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বর্ষাকালে জনস্বার্থের চরম দুর্ভোগ কি শুধু আতঙ্কেরই ফল?
গভীর সমাজে ভিন্ন বাস্তবতা
আমাদের সমাজের উন্নয়ন এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা কি ‘দানা’র আগমনে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যাবে? জলবায়ু পরিবর্তন এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ—এগুলি কি এখনও রাজনৈতিক দলের কৌশল? সংবিধানের প্রতি অসম্মান করে রাজনীতির খেলা চালানো শুধুই ইতিহাসের শিক্ষা। তবে বর্তমানে কি আমরা সত্যিই শিক্ষাগ্রহণ করছি?
মাননীয় মানবতার যুগের প্রান্তে
বর্তমানে, নিহতের সংখ্যা ও ক্ষতির পর্যালোচনা আমাদের বাজেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কি আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে মানবতার অস্তিত্ব সংকটে? ‘দানা’ কি আমাদের সমাজের দুর্বলতা এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করবে? যদি মানুষের মাঝে পরিবর্তন না আসে, তাহলে প্রকৃতির অঙ্গীকার আমাদের বিপর্যয়ের নিদর্শন হিসেবেই রয়ে যাবে।
মিডিয়ার ভূমিকায় পরিবর্তন
এদিকে, মিডিয়া এই পরিস্থিতিকে কিভাবে চিত্রায়িত করছে? অপমানিত মানুষ এবং বিপর্যস্ত পরিবেশের ছবি। তবে পত্রিকাগুলোর উদ্দেশ্য কি সত্যি? প্রতিটি মিনিটে সংবাদ মাধ্যমে যে ছবি তুলে ধরা হচ্ছে, তা বাস্তব চিত্র নয়—এটি ক্ষমতার রাজনৈতিক খেলার অংশ। দুর্বল সমাজের এক কোণে দাঁড়িয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাহিনি যেন বন্দী হয়ে যায়।
উপসংহার
সুতরাং, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ হয়তো আমাদের জন্য একজন অনুসন্ধিৎসু লেখকের মতো সামনে দাঁড়িয়ে পড়বে—সে প্রকৃতি এবং মানবতার সম্পর্ক প্রশ্ন করবে। রাজনীতির এই তুকতাকের মধ্যে মানুষ কোথায়? এর উত্তর খুঁজে বের করতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, নাহলে ‘দানা’র স্রোতে একদিন আমরা শুধুই ভেসে যাব।