“বাম নেতা সুজনের জবাব: সিতাই আসন দাবি, নির্বাচনী প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে, রাজনীতি কি সত্যিই বাসযোগ্য?”

NewZclub

“বাম নেতা সুজনের জবাব: সিতাই আসন দাবি, নির্বাচনী প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে, রাজনীতি কি সত্যিই বাসযোগ্য?”

সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যে প্রতিফলিত হলো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনতির চিত্র। বিমুগ্ধতার মাঝে প্রশ্ন আসে, কেমন governance যেখানে সঠিক সময় পদক্ষেপ গৃহীত হয় না? এ যেন একটি নাটকের দৃশ্য, যেখানে সংলাপ ঠিক সময়ে উচ্চারিত হয়নি। জনমননে এমন হতাশা জাগানো নেতৃত্ব, সত্যিই সমাজকে সুস্বাস্থ্যের দিকে এগোয় না।

“বাম নেতা সুজনের জবাব: সিতাই আসন দাবি, নির্বাচনী প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে, রাজনীতি কি সত্যিই বাসযোগ্য?”

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যে সিতাই আসন নিয়ে চলমান নাটক

বাম সংগঠনের উল্লেখযোগ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী সম্প্রতি একটি মৌলিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুরে সিতাই আসনের জন্য একটি দাবি জানানো হয়। তবে রাজনৈতিক নাটকের এই কাহিনী এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয় যখন তিনি বলেন, ‘যদি এটা আগে বলতেন, তবে বিষয়টা ভাবা যেত। কিন্তু এখন প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে। তাই এটি আর সম্ভব নয়।’

রাজনীতির কপাল ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা

রাজনৈতিক আসন বণ্টনের সময়কার এ ধরনের অভিযোগ ও পাল্টা দাবিগুলি যেন একটি ক্লাসিক নাটকের উপস্থাপন। একদিকে, স্বৈরাচারী রাজনৈতিক দলের দলীয় কোন্দল এবং অপরদিকে, জনগণের লুকানো কষ্ট। বামপন্থীদের মধ্যে এমন বিভ্রান্তির মাঝে তাঁরা কি ধরে নিয়েছে যে, জনগণের চেতনা তাদের দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত? অধিকাংশ ভোটারের মনে প্রশ্ন, ‘কী ধরনের নেতৃত্ব? জনগণের দাবি কোথায় হারিয়ে গেছে?’

গভীর সংকটের চিত্র

সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পর অনেকেই মনন করছেন, কীভাবে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব গণমুখী কর্মকাণ্ডে প্রভাবি ফেলছে। দিন দিন দেশের রাজনীতিতে নৈতিকতার প্রশ্ন উঠছে। তাই আসন দাবির এই খেলায় অনাবশ্যক কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। অপরদিকে, বাম নেতাদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে যে লড়াই, তাতে জনগণের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা কি ফলপ্রসূ হচ্ছে?

মিডিয়া ও জনগণের দৃষ্টি

মিডিয়া সাধা ভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনের ছবি তুলে ধরে। কিন্তু আমাদের সুযোগ কতটুকু? সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যে উঠে আসা অন্ধকার দ্বন্দ্ব কি সত্যিই গণতান্ত্রিক চেতনার প্রকাশ? জনগণের কাছে এই বিষয়টি কেন শিরোনাম নয়? রাজনৈতিক পারষ্পরিক স্বীকৃতি তো এখানে অনুপস্থিত।

সামাজিক আন্দোলনের প্রজ্ঞা

এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে যে, জনগণের মধ্যে বিদ্যমান অসন্তোষ রাজনৈতিক দলের গঠন প্রক্রিয়ায় কীভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। মানবসম্পদের ব্যবহার আসলে একটি গভীর প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া তথ্য কি কেবল তাঁদের স্বার্থের জন্য? ইতিহাসের দিক থেকে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠলেও, রাজনৈতিক নেতাদের সংকীর্ণ মানসিকতা সত্যিই দুঃখজনক।

শেষ মন্তব্য: রাজনৈতিক নাটক অথবা জনগণের সংকট?

সুতরাং, সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যে যে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে, তা নির্দেশ করে যে, বর্তমান রাজনীতি যেন সংকীর্ণ পরিসরে আবদ্ধ হয়ে আছে। আসন নিয়ে এই খেলা কি সত্যিই সমাজের সমস্যা কিংবা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন? প্রশ্ন আছে, আসন বণ্টনের এই নাটক কি জনগণের উন্নয়ন ও স্বার্থের দিকে কোনো ইঙ্গিত করছে?

মন্তব্য করুন