“গভীর রাতে লিজার বিদায়, নতুন কুকুরের আগমন; রাজনীতির খাঁচায় বর্তমানে কে কেমন?”

NewZclub

“গভীর রাতে লিজার বিদায়, নতুন কুকুরের আগমন; রাজনীতির খাঁচায় বর্তমানে কে কেমন?”

রাজনীতির আসরে আবারও নতুন কুকুরের আগমন, কিন্তু পুরনো প্রহরী লিজা কি ভুলে যাবে দিনের পর দিন একাই কাজ করার ক্লান্তি? ডায়মন্ডহারবার পুলিশের এই সিদ্ধান্ত যেন সমাজের এক পৃষ্ঠার চিত্র হয়ে দাঁড়ায়—যেখানে অবসর নিয়ে এলেম খানিকটা ফিকির। লিজার প্রকৃত মূল্যায়ন কি সত্যিই হয়েছে, নাকি চালচিত্রে নতুন সাজানোর তাগিদে পুরনোকে সরানো? এ প্রসঙ্গে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে, নেতৃত্বের উদাসীনতা যখন মানুষের পরিশ্রমকে মূল্যহীন মনে করছে।

“গভীর রাতে লিজার বিদায়, নতুন কুকুরের আগমন; রাজনীতির খাঁচায় বর্তমানে কে কেমন?”

ডায়মন্ডহারবারে কুকুর, রাজনীতি ও অবসরের করুণ কাহিনী

লিজা, আমাদের প্রিয় পুলিশ কুকুর, একা কাজ করছিল। তবে সময়ের প্রভাবে বর্তমানে তার অবসরের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। জীবনের এই শেষ অধ্যায়ে এসে লিজা পুলিশের কাজের চাপ থেকে মুক্তির অপেক্ষায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি লিজাকে অবসর দিতে হবে, নাকি তার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য আরও বেশি কার্যকর হতে পারে?

নতুন কুকুর এবং পুরনো অভিজ্ঞতা

ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার নতুন দুটি কুকুর আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুনের দিকে সবসময় আকর্ষণ থাকে, কিন্তু পুরনো অভিজ্ঞতা কি উপেক্ষা করা উচিত? লিজা কিছু সামান্য কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, তাকে বড় কাজ থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কি অদ্ভুত! যেন লিজাকে অন্ধকারে রেখে নতুনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা।

রাজনীতির নতুন দিক

এখন প্রশ্ন ওঠে, সরকারের জনকল্যাণের জন্য পরিকল্পনা কতটা বাস্তবসম্মত? একদিকে যখন সামাজিক নিরাপত্তার জন্য নতুন উদ্যোগ চলছে, তখন কেন আমাদের পরীক্ষিত সঙ্গীদের অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? লিজার অনুপস্থিতি কি সমাজে শূন্যতা তৈরি করবে? নতুন কুকুর কি একই সফলতা অর্জন করতে পারবে?

গভীর সংকটের সময়

মনে রাখতে হবে, লিজা শুধুই একটি কুকুর নয়। সে আমাদের অনুভূতির প্রতীক, আমাদের সমাজের নীরব যোদ্ধা যারা জাতির সুরক্ষায় কাজ করে। যখন সরকারী আবহে চলমান উন্নয়ন হচ্ছে, তখন লিজার মতো কুকুররা আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাণপাত করছে। আমরা কি লিজার কর্তব্যকে অবজ্ঞা করতে পারি?

লিজার ভবিষ্যতের অপেক্ষা

যখন একটি কুকুর অবসর নেয়, তখন তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় অনেক অসম্পূর্ণতার কথা। সরকার কি সত্যি আমাদের নিরাপত্তার প্রতি যত্নবান? এই সময়ে কুকুর অবসরে গেলে তা শুধু নৈমিত্তিক নয়, বরং আমাদের সামনে নতুন প্রশ্নগুলি নিয়ে আসে। লিজা প্রয়োজন নাকি নতুনদের? এই প্রশ্নের উত্তর বের করা কি আমাদের জন্য সহজ হবে?

সামাজিক পরিবর্তনে মনিষীগণ

বাংলার সমাজ-রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, এবং প্রশ্ন উঠছে কি সরকারি সিদ্ধান্তগুলি আসলেই উন্নয়নশীল নাকি এটি কেবল একটি নাটক? নতুন সম্পদের আগমন উন্নতির চিহ্ন হিসেবে দেখা হলেও, আমরা কি আমাদের বিশ্বস্ত সঙ্গীদের মূল্যায়ন করতে ভুলে যাচ্ছি?

জীবন ও কাজের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছেই। রাজনীতি আমাদের পাশে দাঁড়াবে কি? লিজার মতো কুকুরেরা কি আমাদের ভিত্তি রক্ষা করবে, নাকি তাঁদের অবসর আমাদের জীবনে স্থবিরতা নিয়ে আসবে? চূড়ান্ত সত্যটি বোঝা হয়তো সময়সাপেক্ষ, কিন্তু তার ঘন্টা কবে বেজে উঠবে, তা জানা কঠিন।

মন্তব্য করুন