“কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’: চিকিৎসকদের প্রতিবাদে রক্তের আবাহন, শাসনের অন্ধকারে সামাজিক চেতনায় নতুন আলো?”

NewZclub

“কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’: চিকিৎসকদের প্রতিবাদে রক্তের আবাহন, শাসনের অন্ধকারে সামাজিক চেতনায় নতুন আলো?”

অন্যদিকে, দেবাশিস হালদার যখন কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’র প্রস্তাব দেন, তখন আমাদের সমাজের গভীরতার সঙ্গেও রাজনৈতিক নাটকীয়তার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন, সত্যিই একটি অনন্য উদ্যোগ; তবে প্রশ্ন হলো, আমাদের নেতারা কি কখনো এই সকল কাঁদতে থাকা হৃদয়কে শুনতে সক্ষম হবেন?

“কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’: চিকিৎসকদের প্রতিবাদে রক্তের আবাহন, শাসনের অন্ধকারে সামাজিক চেতনায় নতুন আলো?”

কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’: চিকিৎসকদের নতুন আন্দোলনের আহ্বান

প্রিয় কলকাতা শহর আবারও আন্দোলনের উত্তেজনায় জেগে উঠছে। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার ঘোষণা করেছেন যে ষষ্ঠীতে শহরজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘অভয়া পরিক্রমা’। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে সেই নির্যাতিত রোগীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা, যারা চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এবং নীরবতার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের এই সাহসী পদক্ষেপটি অত্যন্ত যুগোপযোগী।

রক্তদান শিবির: মানবতার জন্য আহ্বান

এখন আমরা নজর দিচ্ছি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের দিকে, যেখানে আজ সকালে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যা নির্যাতিতদের স্মরণে। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি সমাজের উন্নতি তখনই ঘটবে, যখন সেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসন কি এই লক্ষ্যে সত্যিই আগাচ্ছে? অথবা আমাদের নেতারা কি শুধু বক্তৃতা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে মানবতার পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন?

রাজনৈতিক সংকট: নীতির তলায় তলিয়ে যাওয়া

দেবাশিস হালদারের নেতৃত্বে এই আন্দোলন একটি নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনের উপর অধিক নজর দেওয়া হবে। হালদার সাহসী অবস্থান নিয়ে এই আহ্বান তুলেছেন। এটি কি ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে নতুন আশা সৃষ্টি করবে, নাকি শুধুমাত্র একটি নাটক হয়ে থাকবে? সরকারের কী ভূমিকা হবে, তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।

নতুন সামাজিক ভাবনা: সরকারের সমস্যাগুলি

সামাজিক পর্যায়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উপস্থিত। চিকিৎসকদের এই সাহসিকতা ক্ষমতার দায়িত্বকে সুরক্ষা দিতে পারবে কি? অথবা, আমাদের নেতাদের জন্য এই বাস্তবতা নিয়ে একটি খোঁচা? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন, “সংসারের মুশকিল আসলেই মানবচেতনার অরবিন্দ,” কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার আজ সেই অরবিন্দের বাইরে।

জনমত: সময়ের প্রতিফলন

জনগণের মনে বর্তমানে এক অদৃশ্য বিক্ষোভ বইছে। চিকিৎসকদের এই আন্দোলনটির প্রতি সমর্থন প্রতিদিন বাড়ছে। রাজনীতি এবং চিকিৎসা পেশার মধ্যে সংঘাত নয়া সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। মানুষ এখন ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত। এই ভাবনাই হয়তো আমাদের সমাজকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন