বারাসতের কাউন্সিলর মিলন সর্দারের গ্রেফতারির পর শাসক শিবিরের তড়িৎ প্রতিক্রিয়া গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। যে প্রতারক-বৃত্তান্তে কিডন্যাপিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য দল তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে, সেখানে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার আসল চিত্র ফুটে ওঠে। সমাজ কতটা সজাগ, আর নেতৃত্বের কী ঘাটতি, তা একবার ভাবার বিষয়।
রাজনীতির নতুন নাটক: মিলন সর্দারের গ্রেফতার
বারাসত পুরভাটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলন সর্দার, যিনি এখন সিআইডির হাতে বন্দী, রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। কিডন্যাপের অভিযোগে তাঁর নাম উঠে আসার সাথে সাথে শাসক শিবিরের পাল্টা দাবি, “দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে”। আহা! এ কেমন নাটক যেখানে এক কৌতুক অভিনেতার মতো নেতৃত্বের পরিচয়!
শাসক দল এবং প্রতিরোধের স্তম্ভ
দলীয় রাজনীতি যখন তছনছ, তখন কি করবে জনতা? দেবব্রত দে-কে কিডন্যাপের অভিযোগ নিয়ে এই নাটক যেন এক অশুভ সংকেত। মিলনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং সমগ্র শাসন ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলছে। মানুষ কি নীরব দর্শক হবে, নাকি আওয়াজ তুলবে?
রাজনীতির পরিবর্তনশীল দৃশ্যপট
অথচ সমাজের মাঝে এ ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে, নেতাদের অনুতপ্ত মুখোশের পেছনে কতশত দ্বন্দ্ব। সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা কি আজ অন্যদিকে প্রবাহিত হচ্ছে? প্রশ্ন হচ্ছে, কি ঘটছে আমাদের শাসকের নৈতিকতায়? এভাবে কি আমরা সঠিক নেতৃত্ব আশা করতে পারি?
তাহলে, এই রাজনৈতিক নাটক যে বিরূপ সম্বোধন, তা নিশ্চয়ই আমাদের ভাবাতে বাধ্য করে। আসুন, আমরা বুঝে নিই – রাজনীতি শোভাশীল রাস্তায় নয়, বরং পরিত্যক্ত খোঁড়ে ভুল পথে চলতে পারে।