আজ বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে অতীতের রুদ্রাক্ষ তেজে ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল; যেন ঘোরাঘুরি করে আবারও রাজনীতির মঞ্চে বাসা বাঁধছেন। তাঁর পাশে মমতা এবং অভিষেকের ছবির মাধ্যমে পুরনো সম্পর্কের জাল আঁকছেন। এ কি মেরুকরণের নতুন কৌশল, নাকি জনগণের চেতনায় ফেরার চেষ্টায় নিখুঁত নাটকীয়তা? রাজনীতির এই নিরব আন্দোলনে সমাজের মেধা-মননের অবস্থা কি আত্মসমর্পণের?
রাজনীতির সঙ্গী সিলেবাস: বোলপুরের তৃণমূল অফিস ও অনুব্রত মণ্ডল
বোলপুরের তৃণমূল দলের অফিস আজ যেন নতুন রূপে সেজেছে। একদিকে অতীতের স্মৃতি এবং অন্যদিকে ভবিষ্যতের আশা, দুটোই যেন বীরভূমের রাজনৈতিক প্রবাহে একসঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন দলের নেতা অনুব্রত মণ্ডল এই তৃণমূল ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন। এখন তিনি ফিরে এসেছেন পুরনো ছন্দে, কেষ্ট নামে পরিচিত হয়ে। এই রাজনৈতিক নাটকের অদ্ভুত দিকের সাক্ষী বাংলা!
বর্তমানে দলের অবস্থান কেমন?
এই অফিসে নতুন করে সেঁটে দেওয়া ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে কেষ্টর পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতির মহোৎসব যেন নতুন করে শুরু হয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্যপটে কিছু প্রশ্ন জাগছে: আমাদের রাজনৈতিক দর্শন কী? নেতৃত্বের হুকুমে জনতার আকাঙ্ক্ষা কি আর বিবেচিত হচ্ছে? বাস্তবতা কতটা সত্যি?
অবিরাম আন্দোলন
একদিকে নির্বাচন বানচাল হওয়ার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার চাপ—অনুব্রতর অবর্তমানে কি তৃণমূলের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে? অসংখ্য আন্দোলন ও প্রতিবাদ এখনও চলছে। জনগণের অনুভূতি কেমন, তা আমাদের গভীর ভাবে জানতে হবে। নেতা-কর্মীরা জনগণের মধ্যে এই আবেগের প্রসঙ্গে কি সত্যিই ভালো লাগছেন? এখানে কি রাজনীতির বাস্তবতা ও নৈতিকতার মিল খুঁজে পাওয়া যাবে?
মিডিয়ার ভূমিকা
মিডিয়া কীভাবে আমাদের সময়ের রাজনৈতিক অসামান্য সত্যগুলো উপস্থাপন করছে? গত মাসে যেসব সংবাদ শিরোনাম আমাদের চোখে পড়েছে, সেগুলি কি রাজনৈতিক চালাকি ও নাটকীয়তার পরিণতি? যখন ব্যক্তিগত বিপর্যয় প্রধান বিষয়, তখন জনগণের স্বার্থ কেবল একটি সংখ্যা হয়ে যায় কি? এসব প্রশ্ন সমাজের পথ নির্দেশক আলো দিয়েছে।
জন্ম নেওয়া জনমত
বর্তমানে সাধারণ জনগণ বার বার প্রশ্ন তুলছে, “এই নাটকের পালা কবে শেষ হবে?” ভোটব্যাংক এবং নির্বাচনের আগে নেতাদের কথাবার্তা বাস্তবে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু কি? রাজনৈতিক কৌশল ও রাজনীতির মধ্যে ফারাক বাড়ছে। জনতার বর্তমান আস্থা কেমন, তা কি দুর্বল? এভাবেই আমাদের সামনে একটি গভীর চিন্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হচ্ছে।
সুতরাং, বোলপুরের তৃণমূল অফিসের পুনর্গঠন শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটি সমাজের রাজনৈতিক রূপকে নতুন করে ভাবার সুযোগ দেয়। তাহলে কি, নস্টালজিয়ার সেই পরিচিত নাটক আবারও শুরু হবে? সময়ই উত্তর দেবে।