কল্যাণী মেডিসিন কলেজ: সিনিয়র ছাত্রীরাই ‘দিদি’-র ছদ্মাবরণের আড়ালে যৌন নিগ্রহের শিকার জুনিয়র ছাত্রী!

NewZclub

কল্যাণী মেডিসিন কলেজ: সিনিয়র ছাত্রীরাই ‘দিদি’-র ছদ্মাবরণের আড়ালে যৌন নিগ্রহের শিকার জুনিয়র ছাত্রী!

কল্যাণীর মেডিসিন কলেজে ‘দিদি’-দের রাজত্বে, সিনিয়র ছাত্রীরা জুনিয়রদের জন্য তৈরী করেছেন একটি অন্ধকার জগত—যেখানে খণ্ডিত হয় স্রষ্টার সেই মহান আদর্শ। যৌন নিগৃহীত ‘অবাধ্য’ ছাত্রীরা যেন শুধু আঘাত নয়, সমাজের এই রাক্ষসী চেহারা উন্মোচন করছে এক নতুন আন্দোলনের আলো হিসেবে। কোথায় আমাদের ধর্ম, নীতি? প্রশ্ন তো উঠছেই।

কল্যাণী মেডিসিন কলেজ: সিনিয়র ছাত্রীরাই ‘দিদি’-র ছদ্মাবরণের আড়ালে যৌন নিগ্রহের শিকার জুনিয়র ছাত্রী!

কল্যাণী মেডিসিন কলেজে যৌন নিগ্রহের নতুন অভিযোগ

কল্যাণী মেডিসিন কলেজ এবং জেএনএম হাসপাতালে এক নতুন অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে, যা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। জুনিয়র ছাত্রীরা সিনিয়র ছাত্রীদের দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ঘটনা নারীর অধিকার ও সম্মানকে প্রধানত অবমূল্যায়িত করে।

অবস্থানগত অস্থিরতা

কথা উঠেছে যে “দিদি” নামে পরিচিত সিনিয়র ছাত্রীরা সেখানে ক্ষমতার একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করেছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণের অধীনে, ‘অবাধ্য’ ছাত্রীদের উপর যৌন নিগ্রহের চর্চা বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতি যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে, তা নৈতিকতার দিক থেকে অত্যন্ত হতাশাজনক।

শিক্ষার নতুন সংস্কৃতি

এখন প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই পরিস্থিতি কিভাবে তৈরি হলো? কি কারণে নারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে এতো উদাসীনতা? নৈতিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সাংবাদিকতা এবং সামাজিক প্রভাব

এই বিষয়ে সাংবাদিকরা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তাদের দাবি, বর্তমান সরকার এবং কলেজ পরিচালনা কমিটির উচিত এই ঘটনার একটি নৈতিক বিশ্লেষণ করা। গণতন্ত্রের জন্য এমন পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য, যেখানে নারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ বোধ করছেন না।

মিডিয়া এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া

মিডিয়া এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করছে, তবে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—এ পরিস্থিতির কি অবসান ঘটবে? নাগরিক সমাজ কি এসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? সরকারের কি এ প্রবণতাকে হিমালয় অতিক্রম করে সরিয়ে ফেলবে? জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কি সত্যিই পরিবর্তন সম্ভব?

উপসংহার: পরিবর্তনের পক্ষে আওয়াজ ওঠানো

এই সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। এটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা নয়, বরং জাতীয় রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবেশের একটি গুরুতর প্রতিফলন। যখন “দিদিরা” নিজেদের ক্ষমতার খাঁচায় বন্দি করছে, তখন সমাজের সবাইকে একত্রিত হয়ে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।

বৃহত্তর পরিবর্তনের জন্য আমাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে। ডাক্তার, শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদদের নিজেদের চোখ খুলে দেখতে, ভাবতে এবং স্বপ্ন দেখার প্রয়োজন, যাতে সত্যিকার অর্থে সমাজে পরিবর্তন এসেছে।

মন্তব্য করুন