“চাকরি খোঁজার সময়ে পুলিশের ধাক্কা: আপনি নিশ্চয় জানেন, কামরুলের ব্যারিকেডের গল্প!”

NewZclub

“চাকরি খোঁজার সময়ে পুলিশের ধাক্কা: আপনি নিশ্চয় জানেন, কামরুলের ব্যারিকেডের গল্প!”

চাকরি চাইতে এসে পুলিশের ঘাড়ধাক্কার ঘটনা আমাদের প্রমাণ করে, গণতন্ত্রের গান গাওয়া মাঝে মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। কিছুদিন আগে এই পুলিশের মাধ্যমেই ডাক্তারদের আন্দোলনকে স্থান দেওয়া হয়েছিল, অথচ আজ সেই একই পুলিশ আদর্শের নামে মানুষকে দমিয়ে রাখতে দ্বিধা করছে না। রাজনীতির এই বিচিত্র খেলা কি আমাদের আসল চিত্র তুলে ধরছে, নাকি এক নতুন নাটকের জন্য পাত্র-পাত্রী সন্ধান করছে?

“চাকরি খোঁজার সময়ে পুলিশের ধাক্কা: আপনি নিশ্চয় জানেন, কামরুলের ব্যারিকেডের গল্প!”

পুলিশের বাধা: চাকরি খোঁজার অন্ধকার ভবিষ্যৎ

সম্প্রতিকালে, যখন বেশ কিছু যুবক চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে রাজধানীর পশ্চিম প্রান্তে গিয়েছিলেন, তখন তাদের বিরুদ্ধে একটি অদ্ভুত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। “চাকরি চাই” আন্দোলনের অংশ হিসেবে এসে পুলিশ তাদের ওপর বাধা সৃষ্টি করে। কিছুদিন পূর্বে, পুলিশ একইভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছিল। সমাজে এই দ্বিচারিতা কি সত্যিই আমাদের উপকারে আসবে? এটি চিন্তার বিষয়।

সমাজে হতাশার ছোঁয়া

পুলিশি আচরণ ও প্রশাসনের কর্তৃত্বের দিকে নজর দিলে, এক প্রশ্নের উদ্ভব হয়: বর্তমান সরকার কি সত্যিই সমাজকে পরিচালনার জন্য গান্ধীজির আদর্শকে অনুসরণ করছে? চাকরি পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার, কিন্তু বর্তমানে তা মনে হচ্ছে এক বিপথে যাত্রা, যেখানে যুবকদের প্রতি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। আজকের যুবকরা যেন অস্বস্তিতে রয়েছে, গন্তব্যহীন।

নেতাদের নিরবতা, জনতার ক্ষোভ!

নেতারা ভোটের সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাস্তবতায় তাদের দ্বিচারিতা তরুণ সমাজে হতাশার বীজ পোঁতে দিয়েছে। কর্মসংস্থান ও প্রতিশ্রুতির আলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, আর সমাজের প্রতিটি কোণে হতাশার ছায়া পড়ছে। “আমরা চাকরি খুঁজছি, অথচ তারা সেই অন্ধকারে আমাদের শ্বাসরোধ করছে,”—এই অনুভূতি দেশকে উদ্বিগ্ন করছে।

মিডিয়ার দৃষ্টি: অধিকারের লড়াই

অন্যদিকে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিষয়বস্তু নিয়ে সমালোচনা চলছে। ক্ষমতাসীনদের প্রচারের ভাষণে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ভারতীয় আকাশে চাকারা উড়ছে!”—এমন অযৌক্তিকতার কি সমাজের বাস্তবতার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে?

জনতার মননে পরিবর্তনের আহ্বান

সমাজের সাধারণ মানুষের মধ্যে চলমান আন্দোলন সত্যিই উদ্বেগজনক। দিনের পর দিন যখন তারা বুঝতে পারে যে জীবন থেকে অন্ধকারের অস্বস্তি দূর হচ্ছে না, তখন রবীন্দ্রনাথের কথাটি মনে পড়ে: “এই অন্ধকার থেকে আলো খুঁজে পাওয়া কি সম্ভব?”—এখন যুব সমাজের চিন্তার নতুন দিগঙ্কে প্রবেশের সময় এসেছে।

সংগ্রামের প্রেক্ষাপট: ভবিষ্যৎ কী?

কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্ম আজ সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে, যার জন্য তারা লড়ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সত্যিই একত্রিত হয়ে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারব? নাকি এই আন্দোলনগুলো শুধুমাত্র এক অক্ষমতার প্রতীক? আমাদের মধ্যে বিপ্লবের আশা কি এতটুকু গভীর?

দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিনিয়ত বড় হয়ে উঠছে। আমাদের মধ্যে সম্ভাবনার সন্ধান না পেলে, কর্মসংস্থান সংকটের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন একটি গল্প হয়ে যাবে। আসুন, মিলিত হয়ে আলো খুঁজে বের করি এবং একটি নতুন পথের সন্ধান করি।

মন্তব্য করুন