হস্টেলের নিরাপত্তা: কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি, কিন্তু জনগণের উদ্বেগের বেড়েই চলেছে!

NewZclub

হস্টেলের নিরাপত্তা: কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি, কিন্তু জনগণের উদ্বেগের বেড়েই চলেছে!

হস্টেলে বহিরাগত যুবক ধরা পড়া, কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি; অথচ সুরক্ষা বলতে যা বোঝায়, তা আজও ধোঁয়াশায়। শাসনের এ যে নাটক, জনগণের উদ্বেগকে নস্যাৎ করে মুখর হয়ে উঠছে প্রতিরক্ষা, ঠিক যেমন অশান্ত সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃশেষিত কবির সুর।

হস্টেলের নিরাপত্তা: কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি, কিন্তু জনগণের উদ্বেগের বেড়েই চলেছে!

হস্টেলের নিরাপত্তা: প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের হস্টেলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা নতুন মাত্রা নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি হস্টেলে একজন বহিরাগত যুবক ধরা পড়ার ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। এমনকি ওই যুবকের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও যথাযথ বাস্তবায়িত হয়নি। বাস্তবতা হলো, এই প্রতিশ্রুতি যেন ধোঁয়াশায় বিলীন হয়েছে।

নিরাপত্তার অস্থিরতা: সমালোচনা এবং উদ্বেগ

এই ঘটনার পর থেকে আবাসিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আশা করছেন সমাজের নেতা ও রাজনৈতিক কারীরা এই সমস্যাটি নিয়ে উচ্চকন্ঠে আলোচনা করবেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, রাজনীতির অপরাধাচরিত্র অতীতের মতোই অটুট। জনগণ যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তখন কি তাদেরকে সত্যিই এটি বোঝানো সম্ভব যে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবে? এই পরিস্থিতিতে সমাজের আত্ম-সমালোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

জনমতের প্রতিফলন

ক্ষমতাসীনরা যেন এই পরিস্থিতি নিয়ে নির্বিকার। নির্বাচনের সময় তারা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়ালেও, আদতে নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কি? কিছু জনসাধারণের মধ্যে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—জনগণ কি আসলেই তাদের শক্তিশালী নেতাদের কার্যক্রম মনে রাখতে সক্ষম হবে? এটি শুধুমাত্র আশা, নাকি বাস্তব পরিবর্তনের জন্য কিছু করা উচিত?

মিডিয়ার ভূমিকা

মিডিয়া এই আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাংবাদিকরা মাঝে মাঝে এই বিষয়গুলোকে নাটকের মতো করে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন, এবং জনগণের নিরাপত্তার গুরুত্বকেই হালকাভাবে নিচ্ছেন। মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলো মাঝে মাঝে ঘটনার গভীর প্রভাব তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছে।

সামাজিক আন্দোলন: পরিবর্তনের আশা

এই সমস্যা কেবল একটি হস্টেল সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সমাজের ঐক্য ও নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাসের অভাবের প্রতিফলন। যদি ক্ষুব্ধ আবাসিকরা একত্রিত হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হন, তবে হয়তো এই নিরাপত্তাহীনতা কাটানোর একটি পথ বেরোবে। এটি সামাজিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী প্রতিবাদ হতে পারে, যা সরকারের স্বচ্ছতার দিকে নজর রাখবে।

সমাপ্তি

অতএব, আমাদের উচিত সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া ও আমাদের নিজেদের অসন্তোষ নিয়ে চিন্তা করা। সমালোচনা আমাদের দুর্বলতা নয়, বরং এটি সমাজের উন্নয়ন এবং আন্দোলনের পথ। সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের উচিত প্রত্যেক আবাসিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্যথায় সভ্যতার ভিত্তি ক্ষুণ্ণ হবে এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তার অভাব দেখা দেবে।

মন্তব্য করুন