রাজনীতির সরণিতে আবার একটি কালো অধ্যায়, যেখানে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম ওঠে ধর্ষণ ও খুনের সাথে। সিবিআই তদন্তে জানা যায়, আততায়ীরা ঘটনার প্রাক্কালে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করছিল, অথচ এমন অন্ধকারবার্তা সমাজের নিরাপত্তাকে কতটা প্রশ্নবিদ্ধ করে! জনগণের মনে সন্দেহ এবং অশান্তি, নেতৃত্বের ভ্রষ্টতা। সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার পতন এক সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে, যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতায় শিল্পীর প্রতিটি রাজনৈতিক চিত্রণ।
রাজনীতির অন্ধকার: আরজি কর হাসপাতালে সংঘটিত নিন্দনীয় ঘটনা
সম্প্রতি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া একটি জঘন্য ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতা শাখার আইএমএ সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—ধর্ষণ ও খুন। সমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশে নৈতিকতার অবক্ষয়ের ফলে আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। তাহলে প্রশাসন, আদালত ও সুশীল সমাজের ঠাঁই কোথায়?
ফোনের মাধ্যমে সংযোগ: সম্পর্কের জাল
সিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে এবং পরে অভিযুক্তদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ফোনে যোগাযোগ ছিল। এই ফোন কলগুলোর পেছনে রয়েছে একটি ভয়াবহ কাহিনী, যা আমাদের সামনে নির্মম সত্য তুলে ধরছে।
ভিতরের আত্মা: আমরা কি সত্যিই আমাদের জাতিকে সচেতন করছি?
আমাদের সমাজে এমন ভয়াবহ ঘটনা নতুন নয়। অনেকেই বলছেন, ‘এটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি’—একটি বিষাক্ত পরিবেশ। কিন্তু যারা এই ঘটনার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করছেন, তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ একেবারে ভুলে যাচ্ছেন। বিতর্কগুলি বিনোদনের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি আমরা সত্যিই আমাদের গণতন্ত্রের আত্মাকে বাঁচাতে পারছি?
গণতন্ত্রের মুখোশ: সত্যের উন্মোচন
সন্দীপ ঘোষের নাম সামনে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছে। একদল সরকারী ব্যর্থতা নিয়ে মন্তব্য করছে, আর অন্যদল ঘটনার রাজনৈতিক রূপ দিয়ে নিজেদের সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে প্রশ্ন উঠছে—এটা কি সভ্য সমাজের চিত্র? ক্যামেরার সামনে যুক্তি আর পেছনে অমানবিক আচরণ। এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের আইন, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেভাবে গাফিলতি হচ্ছে, মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে।
সংশোধনের আহ্বান ও সত্যের বিচার
এখন সমাজের স্বার্থে কথা বলার সময় এসেছে, নাকি নির্বাক থেকে যাওয়ার? মানবিকতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলন কোনো এক কাল্পনিক কাহিনী নয়। সত্যকে সামনে আনা এবং নতুন রাজনৈতিক ধারা কার্যকর করার জন্য এখনই সময় এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্র কি সত্যি আমাদের বাঁচাতে সক্ষম, নাকি আমাদের নিজেদের অন্ধকারে ঢেকে রাখতে চলেছে?
এসো, আমরা সবাই মিলে সত্যের দিকে এগিয়ে আসি—একটি সঙ্গীতের মতো, যেখানে বোঝাপড়া ও নীতি বিদ্যমান। তবে প্রশ্ন থাকে—রাজনীতিতে প্রতিটি ঘটনা কি কেবল সিনেমার কাহিনী তৈরি করবে, নাকি আমাদের রাজনীতিকে নৈতিকতার দিকে ফিরিয়ে আনবে? এই গল্পের শেষ কোথায়, সেটাই আমাদের দেখতে হবে।