সমাজের অন্ধকারে যখন স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, তখন কাকদ্বীপ হাসপাতাল যেন এক টুকরো জ্যোতি হয়ে হাজির হয়েছে। ৮০০ হবু মায়ের আশ্রয়, যারা অন্যত্র মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারের অবহেলা এবং নেতাদের নির্বিকার মুখোশের মাঝে, কি কারবারে পাপ-বোধের নিত্য বৃত্ত অব্যাহত? বসুমতী নদীর মতো, জনতার আশা-নিরাশা এক বৈপরীত্যের নামকরণ— সৃষ্টির সুরে, রাজনৈতিক সুরভি খুঁজছে, কিন্তু কোন দিকে?
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কাকদ্বীপ হাসপাতালের উদাহরণ
কলকাতার হাসপাতালগুলোতে চলা কর্মবিরতির মাঝে আশ্রয়ের খোঁজে যাঁরা, তাঁদের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন কাকদ্বীপ হাসপাতাল। ৮০০ হবু মায়ের ভরসা যেন জানান দেয় আমাদের সরকারি ব্যবস্থার কতটা খানিকটা দুর্বল হয়েছে।
উন্নয়নের অঙ্গীকার এবং বাস্তবতার দ্বন্দ্ব
কবে নারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন যেন ভবিষ্যৎ অন্ধকারের আভাস। কাকদ্বীপ হাসপাতালের মতো স্থানগুলিতে এমন সময়ে প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা সরকারের জন্য এক গভীর সংকেত। তবু, কি আদৌ শোনার কেউ আছে?
সমাজের বোধ এবং সরকারী প্রতিক্রিয়া
হবু মায়েরা কোথায় যাবেন, এই প্রশ্নের উত্তর যতটা তাত্ত্বিক, ততটাই প্রাত্যহিক। সরকারের অবহেলা ও প্রশাসনের বিপর্যয়ে সমাজের এই নিঃসঙ্গতা আমাদের এক নতুন আলোচনা তুলে ধরছে—মমতার বা নেতৃত্বের সমস্যা, নাকি আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে মানবিকতার সংকট?
আশা ও নিরাশার মাঝে ছন্দ
খুব সম্ভবত, কাকদ্বীপ হাসপাতালই আমাদের ভুলে যাওয়া নীতির দিকে আঙুল তুলে ধরছে। এসব ঘটনা যেমন জীবনের প্রতি প্রেরণা দেয়, তেমনি গভীর সংকটও তৈরি করছে। প্রশ্ন জাগছে, কেন আমরা আমাদের আশ্রয় খুঁজছি কাকদ্বীপের মতো স্থানগুলোতে?