একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যিনি কর্মস্থলে হেনস্থার শিকার হয়েও কাজ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যেন সমাজের নৈতিক দায়িত্বের ভার বুকে চাপিয়ে নিয়ে চলেছেন। পার্কস্ট্রিট থানায় তাঁর নতুন ডিউটি দিনের বেলায়, হয়তো একটি ‘দর্শনীয় পরিবর্তন’ হলেও, ভাবা উচিত—কীভাবে ক্ষমতায় থাকা নেতৃত্ব অতীতে কেবল কথার ফুলঝুরি টেনে, এই মহৎ চেষ্টাকে তুছ মনে করে!
কর্মস্থলে হেনস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সিভিক ভলান্টিয়ার
সম্প্রতি একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে হেনস্থার shocking ঘটনা সমাজে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তবে, তিনি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ থেকে সরে যাননি। বরং, তিনি নতুন উদ্যমের সাথে পার্কস্ট্রিট থানায় ডিউটি পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন, যার ফলে সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়াচ্ছে।
নিজের পেশাগত নৈতিকতা রক্ষা করছেন
বর্তমান সময়ে, যখন ভারতের নারীশক্তির ওপর আক্রমণ বেড়ে চলছে, একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের এই সাহসিকতা অনেকের কাছে প্রশংসনীয়। তবে তার পার্কস্ট্রিট থানায় যোগদান করার পর তাকে রাতের পরিবর্তে দিনের বেলায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এধরনের ব্যবস্থা রাজনীতির মেঘের আড়ালে বিদ্যমান অস্পষ্টতার পরিচয় দেয়।
রাতের নিরাপত্তার চেয়ে দিনের নিরাপত্তা?
তাঁর পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে—একটি স্বাধীন সমাজে মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা কেন চূড়ান্ত উদ্বেগের বিষয়? কেন রাজনীতি তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে? এটি শুধু রাজনীতির সমস্যা নয়, বরং আমাদের সামাজিক আত্মবিশ্বাসেরও একটি বিশেষ প্রতিফলন।
গভীর নৈশব্দের মাঝে চিৎকার
নীরবতার মাঝে যখন অত্যাচারিতরা নিজেদের কণ্ঠ তুলে ধরে, তখন রাজনীতি ও প্রশাসনের বিচ্ছিন্নতা প্রকাশ পায়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া আরও স্পষ্ট। এই ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সভ্যতার মুখোশের পেছনে লুকিয়ে থাকা আঁধার সম্পর্কে।
নেতৃত্বের অঙ্গীকারের লঙ্ঘন
যদি দেশের নেতারা সংবেদনশীলতার নামে বিপদ সৃষ্টি করেন, তবে সেটি কি রাজনীতির সৌন্দর্য? সত্যিকারেই যদি নেতারা তাদের ক্ষমতা ও প্রতিশ্রুতিকে কাজে লাগান না, তবে সাধারণ মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত হবে। সমাজের অভিজাতরা কি এই ব্যাপারগুলো দেখবেন, নাকি কেবল নিজেদের স্বার্থে পথ চিহ্নিত করবেন?
নতুন যুগের শুরুর অঙ্গীকার
এই দৃঢ়তার যুগে, এই সিভিক ভলান্টিয়ারের আদর্শ আমাদের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হতে পারে। নেতৃত্বের হাতে যদি মানুষের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়, তবে আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ অপরিহার্য, যাতে প্রত্যেক কর্মী নিরাপদে কাজ করতে পারে।
পরিবর্তন আনার জন্য সাহসী এবং দৃঢ় কর্মীরা নেতৃত্ব দেবেন, এবং এই সিভিক ভলান্টিয়ার হলেন তাদের মধ্যে একজন। তিনি আমাদের জন্য নতুন আশা নিয়ে এসেছেন। তাই আমাদের উচিত তাঁকে সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে আসা।
প্রতিটি সিভিক ভলান্টিয়ারের গল্প যেন সাহসের একটি নতুন গাথায় পরিণত হয়, তাহলেই হয়তো আমরা আমাদের সমাজের অন্ধকার পথকে আলোকিত করতে পারব।