“কৃষকদের বিপদে সরকারের মিছিল: বাজারে কমলেন আলুর দাম, তবে কি এটাই দেশসেবার উদাহরণ?”

NewZclub

“কৃষকদের বিপদে সরকারের মিছিল: বাজারে কমলেন আলুর দাম, তবে কি এটাই দেশসেবার উদাহরণ?”

রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের চেষ্টা সত্ত্বেও আলুর দাম কমানোর চেষ্টায় মাত্র কিছুটা ফলাফল মিলেছে। তিন মাসে ৫০-৫৫ টাকার দামে বিক্রি হওয়া আলু এখন ৩২-৩৪ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা রাজ্য সরকারের বিচারেও বেশী। কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে সবজি কেনার এই উদ্যোগে সরকার জানাচ্ছে, তারা সাধারণ মানুষের সেবক, অথচ ভোক্তাদের পকেটে হাত দিয়ে সস্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে, যেন খেলোয়াড়েরা গাদাগাদি করে গোল করেও জয়ের আনন্দে হারমানের কথা বলছে। সমাজে দামে কৃত্রিম পরিবর্তন আনতে গিয়ে সরকার যে মানবিক সংবেদনশীলতা হারাচ্ছে, তা কি সত্যিই নজর এড়াবে?

“কৃষকদের বিপদে সরকারের মিছিল: বাজারে কমলেন আলুর দাম, তবে কি এটাই দেশসেবার উদাহরণ?”

রাজ্য সরকারের উদ্যোগ: আলুর সঠিক দাম কেন হবে?

বর্তমানে রাজ্যের কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন, আর ঠিক সেই সময়ে রাজ্য সরকার তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কৃষকদের সহায়তা করতে সরকার একবারের জন্য তাদের সবজি এবং আনাজপাতি কেনার জন্য উৎসাহিত করছে। যদিও একটি টাস্ক ফোর্স বের করা হয়েছে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য, তা খুব একটা সফল হয়নি। তিন মাস আগে বাজারে আলুর দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা এখন নেমে এসে ৩২ থেকে ৩৪ টাকার মধ্যে অবস্থান করছে। তবুও রাজ্য সরকার এই দরকেও ‘বেশি’ মনে করছে।

সরকারের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

সরকারের এই পদক্ষেপ মাত্র কৃষকদের সহায়তার উদ্যোগ নয়, বরং এটি কিছুটা দামে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা। তবে প্রশ্ন উঠছে, কৃষকদের মাঝে সরকারটির প্রতি বিশ্বাস বজায় আছে কি? অথবা এটি একটি রাজনৈতিক নাটক, যেখানে সমাধান নেই। এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়।

জনতা ও সরকার: একটি মেলবন্ধনের অভাব

সরকারের সবজি কেনার প্রচেষ্টা কিছুটা অস্থিরতার পরিচায়ক। যখন জনগণ সরকারের প্রতি হতাশ, তখন তারা শুধু নিজেদের রুটি রুজির জন্য সরকারকে দায়ী করে। এই অবস্থায় প্রশ্ন আসে, গণতন্ত্রের এই অবস্থা কেন আমাদের দিন-প্রতিদিনের জীবনে? সরকারী নীতি ও সিদ্ধান্তগুলি জটিল হয়ে পড়েছে, যা রাজনীতির অপব্যবহারকে উস্কে দিয়েছে। তাই কৃষকদের জন্য এই উদ্যোগের রহস্য কোথায়? জমির উৎপাদনের পুরোনো সমস্যাগুলো কি এই উদ্যোগে সমাধান হবে?

সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

করোনা মহামারীর পর বাজারের দাম বৃদ্ধি একটি পুরনো কাহিনী বটে। তবে রাজ্য সরকারের সদর্থক উদ্যোগগুলো কি সত্যিই জনগণের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য, নাকি এটি রাজনৈতিক ছক? সরকার ও জনতার সম্পর্কের গভীরতা এবং দুর্বলতা উভয়ই এখানে দৃশ্যমান।

একটি নতুন চিন্তার সূচনা

এই পরিস্থিতিতে আমাদের ভাবতে হবে—কিভাবে সমগ্র জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায়? সরকার যদি ভালো কাজ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ সেটা নিশ্চয়ই প্রশংসা করবে, কিন্তু এই কাজের পরিকল্পনা কেমন? গভীর চিন্তার জাগরণ প্রয়োজন। কৃষকদের স্বার্থে সরকারের সংস্রবে সমৃদ্ধ একটি সমাজ তৈরির জন্য বিশাল প্রয়াস প্রয়োজন। এতে প্রতিটি মানুষের ভাবনা ও প্রয়োজনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এই সব বিষয় সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিভাবে এই সংকট কাটিয়ে উত্তরণের উপায় বের করবেন, তা আমাদের ভাবনায় দানা বাঁধছে।

মন্তব্য করুন