“নেপালের বিপর্যয়ে সরকারের দায়িত্বহীনতা: বৃষ্টি তো কাল, রাজনীতির গদ্যমুখী পদক্ষেপ!”

NewZclub

“নেপালের বিপর্যয়ে সরকারের দায়িত্বহীনতা: বৃষ্টি তো কাল, রাজনীতির গদ্যমুখী পদক্ষেপ!”

অধ্যাত্মতার গহনে, নেপালের বৃষ্টি যেন রাজনৈতিক মহলের করুণ গীত। বিপর্যয়ের মাঝে ১১২টি প্রাণ ঝরেছে, আর কাঠমান্দুর ধ্বংসস্তূপ যেন নেতাদের কর্তৃত্বের মুখোশ খুলে দিয়েছে। বন্যার পানিতে হয়ত তারা কী করেছেন, তা সবাই দেখে ফেলছে। অথচ, মাদকের আড়ালে রাজনীতির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, মানবিক অনুভূতিরও তো এক ভরা নদী।

“নেপালের বিপর্যয়ে সরকারের দায়িত্বহীনতা: বৃষ্টি তো কাল, রাজনীতির গদ্যমুখী পদক্ষেপ!”

নেপাল: প্রবল বিপর্যয়ের কাহিনি

নেপাল, এই পাহাড়ের রাজ্য, এক সময় শান্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল, আজ সেই দেশ বৃষ্টির স্রোতে চুরমার। বিখ্যাত কাঠমান্ডু শহর এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অতিভারী বর্ষা এবং ভূমিধসের কারণে সারাদেশে ত্রাস নেমে এসেছে। শহরের রাস্তা এখন নিস্তব্ধ, শুধু শোকের আওয়াজ এবং ধ্বংসের চিত্র আমাদের সামনে। ইতিমধ্যে ১১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যেন ইতিহাসের এক নতুন কষ্টাতুর অধ্যায় লিখিত হচ্ছে।

রাজনৈতিক পটভূমি

এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারী ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চয়ই তাদের প্রথম অঙ্গীকার ছিল, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে তাদের অদক্ষতা প্রকাশিত হয়েছে। অনিয়ম, দুর্নীতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ছাপ মনে হয় যেন নেপালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চিরস্থায়ী চিত্র। সরকারের এই বিপর্যয় মোকাবিলার ভূমিকা কী হবে? রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল প্রাকৃতিক বিপদ নয়, বরং নেতৃত্বের সংকটও এখানে স্পষ্ট।

জনতার প্রতিক্রিয়া

বর্তমানে街 বদলে যাচ্ছে, রাজনৈতিক আলোচনা চলছে ঘরে ঘরে। সরকারী পক্ষের সমর্থকরা অন্যদের প্রতি বিপর্যয়ের দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন, আর বিরোধীরা উত্তেজিত। সাধারণ মানুষের চাহিদা হলো নিরাপদ আশ্রয়—তাদের রাজনৈতিক জটিলতায় জড়াতে স্থির নয়। জনপ্রিয় নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য এখন আর জনগণের কাছে প্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছে না। তাদের কেবল কথার ফুলঝুরি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ কি তাদের হওয়ার কোনো বাস্তব টোকা পাবে?

মিডিয়ার ভূমিকা

এই বিপর্যয়ের মধ্যেও মিডিয়ার কার্যক্রম যেন আলাদাভাবে চলমান। সংবাদ মাধ্যমগুলি রাতের বেলা মৃত্যুর সংখ্যা গুণে তাদের শিরোনামকে আয়োজন করছে। সামাজিক মিডিয়ায় নানা হাস্যরস এবং ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের রমরমা। রাজনৈতিক নেতাদের উপর সমালোচনা থেমে নেই—কেউ প্রশ্ন করছেন, “তাদের কি কখনো এই বৃষ্টির ছায়া থেকে বের হতে দেখা যাবে?” ল্যাপটপের পর্দার পেছনে সবাই পরিস্থিতি দেখছে, কিন্তু কোথাও সাহায্যের সংকেত খুঁজে পাচ্ছেন না।

ভবিষ্যতের পরিস্থিতি

এখন মুক্তির আশা কোথায়? সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা যে সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে, কিন্তু বর্তমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। নিরাপত্তা প্রদান ও ক্ষত অভিযোগের বদলে বিরোধী শক্তির কথাবার্তায় অশালীনতার ছায়া দেখা যাচ্ছে। সময় হয়তো বদলাবে, কিন্তু নেপালে জনগণের ক্ষোভের আগুন কি দ্রুত নিভবে? এই সংকট কেবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়; বরং এটি দেশের রাজনৈতিক চেহারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কাঠমান্ডুর আত্মা কি একদিন পুনরুজ্জীবিত হবে?

মন্তব্য করুন