সবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে, পকেটের চাপ বাড়ছে প্রতিদিন; যেন সরকারে বসে কেউ হাসছে আমাদের দুঃখের ওপর। পেঁয়াজ এখন ৮০ টাকা, যখন অন্য কোথাও লুকিয়ে আছে ৯০। সুফল বাংলার ভরসায় আমরা, তবে প্রশ্ন শুনি, কোন সৎ নেতার ভোটে? রাজনৈতিক খেলা যখন খণ্ডন, তখন আমাদের মুখে জল ছাড়া আর কোনো উপায় কি?
সবজির বাড়তি দাম: সরকারের দায় কে?
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, সবজি ও আনাজের দাম আকাশচুম্বী অবস্থানে রয়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে, এবং কিছু জায়গায় তা ৯০ টাকাকে অতিক্রম করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই পরিস্থিতিকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে, বিশেষ করে শনিবারের বাজারে।
সুফল বাংলার প্রতিশ্রুতি
রাজনীতির নেতারা যখন কেবল নিজেদের স্বার্থে জনগণের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেন, তখন সাধারণ জনগণ সুফল বাংলার দিকে আশার দৃষ্টি রাখছে। যখন সমাজের বাইরে সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তখন সরকারের অনুদান সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
জনসাধারণের মনোভাব
যদিও জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেন যে মূল্যবৃদ্ধির কোনও সমস্যা নেই, বাস্তবতা বলছে ভিন্ন। বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে বাজারে ‘পঁচা দিন’ কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যখন নেতারা অজুহাত দেন, সাধারণ জনগণের অধিকার অধিকাংশ সময় চাপা পড়ে যায়। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও ঊর্ধ্বমুখী দামদেশে ভর্তুকির উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন গৃহকর্মীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা যখন চলছে, তখন তাদের দৃষ্টি জনগণের মৌলিক চাহিদার দিকে নেই। নেতারা শহরের রাজপথে নিয়ে অভিযোগ করতে থাকলেও, বাজারের পেঁয়াজের দাম চড়ায় তারা কিছু ভাবছেন না।
সংসদে হতাশার সংকেত
জনগণের ক্ষোভ সামলাতে না পেরে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে কীভাবে আলোচনা হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যেখানে জনগণ বাজেট সুরক্ষিত করতে চায়, সেখানে নেতাদের মাথায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের চিন্তা ঘুরতে থাকে। প্রশ্ন হল, পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এর কোনও সঠিক উত্তর নেই।
সমাজের অস্থিরতা
এখন সময় এসেছে বিকল্প রাজনৈতিক পথ খোঁজার ও রাজনৈতিক সমালোচনা বাড়ানোর। জনগণের চাহিদার মূল্যায়ন প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আটকে আছে। সমাজে যখন চাহিদার ‘দরজা’ খোলার চেষ্টা হচ্ছে, তখন আন্দোলনের আগুন প্রবল হচ্ছে।
নিষ্কर्ष
সম্ভবত, বঙ্গের অতীত আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেবে। আলোচনা যেন কেবল বাজারের মাস্তানদের হাতে না থাকে, বরং জনগণের হৃদয়ে। তাই, যারা আবারও দাম নিয়ে ক্রন্দন করছে, তাদের দুঃখ বুঝতে রাজনীতির ধরন বদলানোর সময় এসেছে। রাজনীতির ক্লান্তি কাটানোর আশা আমাদের সবার জন্য অপরিহার্য।