কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে সফল টেস্ট টিউব বেবি সেন্টারের প্রথম মানব শিশুর জন্ম যেন এক নতুন যুগের সূচনা, তবে কি রাজনীতির অহংকারে এঁকে চলা ক্যানভাসে এটাই শেষ? প্রকৃতির অঙ্গীকারের সামনে সরকারী দায়িত্বের বিচারের মাপকাঠি কি ভেঙে পড়বে? আমাদের ঐশ্বরিক ডানায় পরিতৃপ্তি, না কি জনপদে চর্চা করা এক ব্যর্থতার ক্যালিগ্রাফি?
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মানব শিশুর জন্ম: আইভিএফের সাফল্যের নতুন অধ্যায়
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে টেস্ট টিউব বেবি সেন্টারটির যাত্রা শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে, যা নতুন আশা জাগায়। চিকিৎসার এই আধুনিক পদ্ধতি, যা বিজ্ঞান ও জীবনের সমন্বয় ঘটায়, সমাজের মৌলিক সমস্যার সমাধানে সফল হবে কিনা, এটি ছিল জনমানসে একটি বড় প্রশ্ন। সম্প্রতি, সেখানে প্রথম মানব শিশুর জন্ম হয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমে বেশ আকর্ষণীয় খবর হিসাবে স্থান পেয়েছে।
একটি হাসির খেলা, অথবা অশ্রুর ইতিহাস?
এখন প্রশ্ন উঠছে, আমরা কীভাবে আইভিএফ প্রক্রিয়াকে সমাজের কাঠামোর মধ্যে সঠিকভাবে বিবেচনা করবো? যখন ৩৬টি আইভিএফ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা শুরু হয়, তখন রাজনৈতিক নেতাদের একজন মন্তব্য করেছিলেন, “মানব কল্যাণে আমাদের কর্তব্য কেবল আদর্শ নয়, প্রতিশ্রুতি।” কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবতা কি তাদের চেয়ে বেশি মূল্যবান?
বিজ্ঞান কি রাজনীতির হাতিয়ার?
যখন বিজ্ঞান নতুন সম্ভাবনার দিকে আমাদের নিয়ে যায়, তখন রাজনীতির দ্বারা তার অবমূল্যায়ন কি আমাদের সমাজের অগ্রগতির পথে বাধা তৈরি করছে? এ ছাড়াও প্রশ্ন ওঠে; এই সাফল্য কি কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচারণার একটি অংশ, নাকি এটি মানবিকতার জন্য একটি সত্যিকার পরিবর্তন?
জনগণের প্রভাব ও উদ্যোগের আলোকছায়া
এখন কলকাতার এই আইভিএফ সেন্টার যেন একটি নতুন কর্মশালার মত কাজ করছে। অভিভাবকদের চোখের জল কি সমাজে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে? দারিদ্র্য ও বিপত্তির মাঝে এক সুস্থ জীবনের আশা কি সত্যিই এখানে জন্মেছে? সরকারের ভূমিকা এই পরিস্থিতিতে কতটা কার্যকর?
মিডিয়ার ভূমিকা এবং সমাজের প্রতিবিম্ব
মিডিয়াতে যখন নতুন শিশুর ছবির চাহিদা বাড়ছে, আমরা কি কখনও ভেবেছি যে, তাদের স্বাধীনতা, শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য কিভাবে পরিচালিত হবে? মিডিয়া কি সমাজের সঠিক প্রতিফলন, নাকি এটি শুধুমাত্র সরকারের একটি হাতিয়ারের ভূমিকা পালন করছে? যখন ক্ষমতার আড়ালে দুর্বলতার কাহিনী চাপা পড়ে যায়, জনগণ কি সেই স্বরাষ্ট্রীয় দিকের প্রতি নজর দেয়?
উপসংহার: আশা ও সংশয়ের মাঝে
সুতরাং, মাত্র এক শিশুর জন্ম একটি রাজনৈতিক আলোচনার বড় ইস্যু তৈরি করছে। আশা করি, সেই শিশু একদিন সমাজের পরিবর্তনে সহায়ক হবে, এবং আমরা মানবিকতার জন্য সত্যিকারের সাফল্যের নিদর্শন হয়ে উঠতে পারব। সত্যিকার উদ্দেশ্য কি, যেখানে বিজ্ঞান ও রাজনীতি একসাথে কাজ করবে?